গাজার যুদ্ধের অবসান এবং অঞ্চলটির ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সংস্কারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এই প্রস্তাবের জন্য তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন, তবে পরিস্থিতির জটিলতা বাড়তে থাকায় নেতানিয়াহুর মনোভাব উল্টো দিকে মোড় নেয়। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি কখনও ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবেন না এবং গাজায় ইসরায়েলের সেনাসৌজ রীতিমত অব্যাহত থাকবে। ট্রাম্পের প্রস্তাবে ফিলিস্তিন স্বরাজ্যের কথা থাকলেও, নেতানিয়াহু বারবার এর নিন্দা জানিয়ে আসছেন।
বিশেষ করে এই প্রস্তাবের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন জর্দান, মিসর, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের মতো শীর্ষস্থানীয় আরব ও মুসলিম দেশগুলো, যা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য গতি দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে শর্ত আরোপ করেছেন— হামাস এই প্রস্তাবের সঙ্গে রাজি কি না, সে বিষয়ে তিন থেকে চার দিনের সময় দিয়ে নিশ্চিত করতে। যদি তাঁরা রাজি না হয়, তাহলে যুদ্ধের শেষ হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এই প্রস্তাবটি বেশ কিছুটা বাইডেনের এক বছরের পুরোনো পরিকল্পনার মতো, যা দীর্ঘ সময় ধরে গাজায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধ্বংসযজ্ঞ এবং দুর্ভিক্ষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি গাজার ইসরায়েলি জিম্মিদের সঙ্গে মাসের পর মাস ধরে চলা নির্যাতন ও বন্দিদশার দৃশ্যও থেমে যায়নি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাইডেনের উদ্যোগ ব্যর্থতার কারণ হলো নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় থাকা কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠীর চাপ। তাদের দাবির কারণে অনেক ক্ষেত্রে কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হন নেতানিয়াহু।
তবুও ট্রাম্পের এই যুদ্ধ অবসানের প্রস্তাব একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রথমবারের মতো, তিনি ইসরায়েলের ওপর যুদ্ধ শেষের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। এতে নেতানিয়াহুর সরকার বেশ চাপের মুখে পড়েছে, যা ভবিষ্যতের পরিস্থিতি উসকে দিতে সক্ষম।