১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

পুঁজিবাজারে দরপতনের মাঝেও মূলধন ১৫০০ কোটি টাকা বেড়ে গেছে

গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং ইউনিটের মূল্য কমলেও বাজারের মূলধন মোটের ওপর বেড়ে গেছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এর কারণ হলো, এর পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠান আহরণ করেছে মূল্যবৃদ্ধি, যা বাজারের সামগ্রিক অবস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন শুক্রবার শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা, যা আগে ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে এর অর্থমূল্য বেড়েছে ১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা বা ০.২২ শতাংশ। তবে, এর আগে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছিল, প্রথম সপ্তাহে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে যথাক্রমে ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা এবং ১৪৬ কোটি টাকা।

অবশ্য, এটি বিকাশের মূল কারণ হলো, দরপতনের মধ্যেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের শেয়ারের দাম বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর ১৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্য বেড়েছে। অন্যদিকে, দাম কমেছে ২১৫টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। অর্থাৎ, দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার প্রতিষ্ঠান সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি।

প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সও সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে এটি ০.৬৬ পয়েন্ট বা ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪৮.০ পয়েন্ট। পরবর্তী সপ্তাহে সূচকটি আগের মতো পতনশীল ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে সামান্য বৃদ্ধি এলো। পাশাপাশি, লেনদেনের গতি বেড়ে গড় দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৬২০ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৬.২৩ শতাংশ বেশি।

নিয়মিত ট্রেডের এই বৃদ্ধি ও বাজারের সাম্প্রতিক গতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাজনক। যদিও দরপতনের প্রবণতা চললেও সামগ্রিক বাজারের গড় মূল্য ও মূলধন বৃদ্ধির কারণে বাজারের স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

পুঁজিবাজারে দরপতনের মাঝেও মূলধন ১৫০০ কোটি টাকা বেড়ে গেছে

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এবং ইউনিটের মূল্য কমলেও বাজারের মূলধন মোটের ওপর বেড়ে গেছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এর কারণ হলো, এর পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠান আহরণ করেছে মূল্যবৃদ্ধি, যা বাজারের সামগ্রিক অবস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন শুক্রবার শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা, যা আগে ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে এর অর্থমূল্য বেড়েছে ১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা বা ০.২২ শতাংশ। তবে, এর আগে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছিল, প্রথম সপ্তাহে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে যথাক্রমে ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা এবং ১৪৬ কোটি টাকা।

অবশ্য, এটি বিকাশের মূল কারণ হলো, দরপতনের মধ্যেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের শেয়ারের দাম বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর ১৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্য বেড়েছে। অন্যদিকে, দাম কমেছে ২১৫টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। অর্থাৎ, দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার প্রতিষ্ঠান সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি।

প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সও সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে এটি ০.৬৬ পয়েন্ট বা ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪৮.০ পয়েন্ট। পরবর্তী সপ্তাহে সূচকটি আগের মতো পতনশীল ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে সামান্য বৃদ্ধি এলো। পাশাপাশি, লেনদেনের গতি বেড়ে গড় দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৬২০ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৬.২৩ শতাংশ বেশি।

নিয়মিত ট্রেডের এই বৃদ্ধি ও বাজারের সাম্প্রতিক গতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাজনক। যদিও দরপতনের প্রবণতা চললেও সামগ্রিক বাজারের গড় মূল্য ও মূলধন বৃদ্ধির কারণে বাজারের স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।