১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরির প্রয়োজনীয়তা 강조 ঢাকার সবচেয়ে বড় লাইভ মিউজিক রেস্টুরেন্ট আইসিসিএল গোরমে চালু মিরপুরে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ মৃত্যুর শোকাবহ ঘটনা অবশেষে নিভে গেল আগুন, ধোঁয়া এখনও বের হচ্ছে এবং কেমিক্যালের প্রভাবে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারিতে জমার নির্দেশ ভারতের তিনটি কফ সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা ২০ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জে.সি. বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে হানিফসহ চারজনের আদালত হাজিরা için বিজ্ঞপ্তি জারি নির্দেশ রামগতি-কমলনগরে এক লাখ ৩০ হাজার গবাদি পশুর জন্য আতঙ্কের ভেতর খামারিরা ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও আহ্বান

গুগল ভারতে ১৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা প্রকাশ করে

আগামী পাঁচ বছর ধরে গুগল ভারতে বিশাল পরিমাণে বিনিয়োগ করবে ১৫০০ কোটি ডলার, যা দেশের প্রযুক্তি খাতে বড় আঘাত হতে চলেছে। এই ঘোষণা মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই বিনিয়োগের আওতায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে একটি বৃহৎ ডেটা কেন্দ্র এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। নয়াদিল্লি থেকে এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গুগল ক্লাউডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) থমাস কুরিয়ান নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গত কয়েক বছরে আমরা যে সমস্ত এআই হাব-এ বিনিয়োগ করেছি, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।’ তিনি উল্লেখ করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে একটি গিগাওয়াট-স্কেল এআই হাব তৈরি করা হবে। কুরিয়ান আরও জানান, গুগলের লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রকে একাধিক গিগাওয়াটে উন্নীত করা।

এশিয়ার এই বৃহৎ বিনিয়োগের কারণে ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এই বছর শেষে ৯০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশাল বাড়তি অনুভূত হচ্ছে, বিশেষ করে এআই টুলসের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিনিয়োগের জন্য গুগলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল অবকাঠামো আমাদের ‘ইন্ডিয়া এআই ভিশন’-এর লক্ষ্য অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এই দিনটিকে ‘খুবই আনন্দের দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাজ্যের প্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী বিনিয়োগ। এক বছরের নিরলস আলোচনা এবং প্রচেষ্টার ফলাফল এটি। এই বিনিয়োগ আমাদের রাজ্যের জন্য ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক মর্যাদার জন্য বিশাল অগ্রগতি এনে দেবে। এটি শুধুমাত্র শুরুর কথা।’

অন্যদিকে, এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্টার্ট-আপ ‘অ্যানথ্রপিক’ এ বছরই ভারতে একটি অফিস খোলার ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রধান নির্বাহী দারিও আমোদেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মোদি তাদের এআই উদ্ভাবনের সুযোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারতের প্রাণবন্ত প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম এবং প্রতিভাবান যুবসমাজ এআই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘একসাথে আমরা উন্নয়নের জন্য এআই-র পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাই।’

অ্যানথ্রোপিকের আগে ভারতের বাজারে আগ্রহ দেখিয়েছে আরও বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় এআই প্রতিষ্ঠান। ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা এ বছরের শেষের দিকে ভারতে একটি অফিস খোলার পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্যাম অল্টম্যান উল্লেখ করেছেন, গত এক বছরে ভারতে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার চারগুণ বেড়ে গেছে।

অপরদিকে, পারপ্লেক্সিটি জুলাইয়ে এয়ারটেলের সঙ্গে একটি বড় পার্টনারশিপের ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় এয়ারটেলের ৩৬ কোটি গ্রাহক এক বছরের জন্য ফ্রিতে পারপ্লেক্সিটি প্রো সাবস্ক্রিপশন উপভোগ করবেন। এই সব উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনা দেখানোর পাশাপাশি ভারতের ডিজিটাল গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে যাচ্ছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

চাকসু নির্বাচনে কালি মুছে যাচ্ছে, ছাত্রদল অভিযোগ

গুগল ভারতে ১৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা প্রকাশ করে

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আগামী পাঁচ বছর ধরে গুগল ভারতে বিশাল পরিমাণে বিনিয়োগ করবে ১৫০০ কোটি ডলার, যা দেশের প্রযুক্তি খাতে বড় আঘাত হতে চলেছে। এই ঘোষণা মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই বিনিয়োগের আওতায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে একটি বৃহৎ ডেটা কেন্দ্র এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। নয়াদিল্লি থেকে এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গুগল ক্লাউডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) থমাস কুরিয়ান নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গত কয়েক বছরে আমরা যে সমস্ত এআই হাব-এ বিনিয়োগ করেছি, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।’ তিনি উল্লেখ করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে একটি গিগাওয়াট-স্কেল এআই হাব তৈরি করা হবে। কুরিয়ান আরও জানান, গুগলের লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রকে একাধিক গিগাওয়াটে উন্নীত করা।

এশিয়ার এই বৃহৎ বিনিয়োগের কারণে ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এই বছর শেষে ৯০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশাল বাড়তি অনুভূত হচ্ছে, বিশেষ করে এআই টুলসের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিনিয়োগের জন্য গুগলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল অবকাঠামো আমাদের ‘ইন্ডিয়া এআই ভিশন’-এর লক্ষ্য অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এই দিনটিকে ‘খুবই আনন্দের দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রাজ্যের প্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী বিনিয়োগ। এক বছরের নিরলস আলোচনা এবং প্রচেষ্টার ফলাফল এটি। এই বিনিয়োগ আমাদের রাজ্যের জন্য ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক মর্যাদার জন্য বিশাল অগ্রগতি এনে দেবে। এটি শুধুমাত্র শুরুর কথা।’

অন্যদিকে, এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্টার্ট-আপ ‘অ্যানথ্রপিক’ এ বছরই ভারতে একটি অফিস খোলার ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রধান নির্বাহী দারিও আমোদেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মোদি তাদের এআই উদ্ভাবনের সুযোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারতের প্রাণবন্ত প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম এবং প্রতিভাবান যুবসমাজ এআই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘একসাথে আমরা উন্নয়নের জন্য এআই-র পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাই।’

অ্যানথ্রোপিকের আগে ভারতের বাজারে আগ্রহ দেখিয়েছে আরও বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় এআই প্রতিষ্ঠান। ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা এ বছরের শেষের দিকে ভারতে একটি অফিস খোলার পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্যাম অল্টম্যান উল্লেখ করেছেন, গত এক বছরে ভারতে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার চারগুণ বেড়ে গেছে।

অপরদিকে, পারপ্লেক্সিটি জুলাইয়ে এয়ারটেলের সঙ্গে একটি বড় পার্টনারশিপের ঘোষণা দিয়েছে। এর আওতায় এয়ারটেলের ৩৬ কোটি গ্রাহক এক বছরের জন্য ফ্রিতে পারপ্লেক্সিটি প্রো সাবস্ক্রিপশন উপভোগ করবেন। এই সব উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনা দেখানোর পাশাপাশি ভারতের ডিজিটাল গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে যাচ্ছে।