০২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গুরুত্বপূর্ণ আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বৈঠকের মাধ্যমে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক ভুল তথ্য প্রচার, পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর জন্য ড্রোনের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশেষ করে, আগামী নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি উঠেছে, যা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান সমন্বয়ে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নির্বাচনকালে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তফসিল ঘোষণার পূর্বে, নির্বাচনকালীন সময়ে অপরাধ দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই পর্যায়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তফসিল ঘোষণার থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, ম্যাজিস্ট্রেটসমূহ পথে বেড়ে উঠবে। ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা বা দুই দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা সক্রিয় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যেকোনো অদৃশ্য বা সহিংসতা রোধে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মনিটর করবেন।

নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম যেমন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, স্থানান্তর, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। এছাড়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে, সার্বিক পরিস্থিতি নিরীক্ষণ ও সমন্বয় সাধনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, বিভ্রান্তিকর এআই-ভিত্তিক তথ্য প্রচার রোধ, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটের সুষ্ঠু ব্যবস্থা ও সেনা মোতায়েনে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষে, নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত। এর ফলে, নির্বাচনটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে—এমন প্রত্যাশা নিয়ে সকল স্তরে প্রস্তুতি নেওয়া চলছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ

প্রকাশিতঃ ১১:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গুরুত্বপূর্ণ আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বৈঠকের মাধ্যমে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক ভুল তথ্য প্রচার, পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর জন্য ড্রোনের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশেষ করে, আগামী নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি উঠেছে, যা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান সমন্বয়ে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নির্বাচনকালে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তফসিল ঘোষণার পূর্বে, নির্বাচনকালীন সময়ে অপরাধ দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই পর্যায়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তফসিল ঘোষণার থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, ম্যাজিস্ট্রেটসমূহ পথে বেড়ে উঠবে। ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা বা দুই দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা সক্রিয় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যেকোনো অদৃশ্য বা সহিংসতা রোধে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মনিটর করবেন।

নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম যেমন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, স্থানান্তর, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। এছাড়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে, সার্বিক পরিস্থিতি নিরীক্ষণ ও সমন্বয় সাধনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, বিভ্রান্তিকর এআই-ভিত্তিক তথ্য প্রচার রোধ, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, পোস্টাল ভোটের সুষ্ঠু ব্যবস্থা ও সেনা মোতায়েনে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষে, নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত। এর ফলে, নির্বাচনটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে—এমন প্রত্যাশা নিয়ে সকল স্তরে প্রস্তুতি নেওয়া চলছে।