০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
সারাদেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরাইলি জেনারেলের পদত্যাগ ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে ভারতীয় ৬০ বস্তা ফুসকা ও ব্লেড সহ ৪ জন আটক কুলাউড়া সীমান্তে ১৩ ভারতীয় গরু আটক বিজিবির সীমান্তে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত নায়েক আক্তার হোসেনের দাফন সম্পন্ন বাজারে ক্ষতিকর রঙ মেশানো ‘মুগ’ ডাল! নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা নির্বাচনী উৎসবের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, ভোটে জনগণের আস্থা জোরদার মির্জা ফখরুল: সরকারের এখতিয়ার নয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্রুত গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন ডিসেম্বরে দেশের দেড় কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে

সীমান্তে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত নায়েক আক্তার হোসেনের দাফন সম্পন্ন

সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আরাকান আর্মির পুতে রাখা খুদে মাইনের বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সাহসী সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শনিবার (০১ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সিএমএএইচ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের মরদেহ আজ ভোলায় আরও একবার পরিবারের কোলে আপনজনদের জন্য শেষ বিদায় জানানো হয়। জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরে তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে কবরে বাংলার মাটিতে দাফন করা হয়।

নায়েক আক্তার হোসেন ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মান্নান মিয়ার পুত্র। তাঁর বয়স ছিল ৪৫ বছর। তিনি এক স্ত্রীর স্বামী, দুই ছেলে ও এক মেয়ের পিতা। মৃত্যুকালে তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকার টহলরত সময় অত্র অঞ্চলে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। তার অবস্থা দ্রুত আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে রামু সিএমএইচে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, এরপর দ্রুত হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচে নেয়ার পর ১৩ দিন জীবনের জন্য লড়াই করে শনিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিজিবি থেকে জানানো হয়েছে, নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনী গভীর শোক প্রকাশ করেছে। কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে একজন সাহসী সহযোদ্ধা আমাদের জীবন দিতে বাধ্য হন। তার আত্মসর্বস্ব উৎসর্গ আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, এবং এই শোকাবহ সময়ে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সরে গেল বিদ্রোহী মিয়ানমার শহর দুটি

সীমান্তে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত নায়েক আক্তার হোসেনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিতঃ ১১:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আরাকান আর্মির পুতে রাখা খুদে মাইনের বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সাহসী সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শনিবার (০১ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সিএমএএইচ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের মরদেহ আজ ভোলায় আরও একবার পরিবারের কোলে আপনজনদের জন্য শেষ বিদায় জানানো হয়। জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরে তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে কবরে বাংলার মাটিতে দাফন করা হয়।

নায়েক আক্তার হোসেন ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মান্নান মিয়ার পুত্র। তাঁর বয়স ছিল ৪৫ বছর। তিনি এক স্ত্রীর স্বামী, দুই ছেলে ও এক মেয়ের পিতা। মৃত্যুকালে তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকার টহলরত সময় অত্র অঞ্চলে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। তার অবস্থা দ্রুত আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে রামু সিএমএইচে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন, এরপর দ্রুত হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচে নেয়ার পর ১৩ দিন জীবনের জন্য লড়াই করে শনিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিজিবি থেকে জানানো হয়েছে, নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনী গভীর শোক প্রকাশ করেছে। কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে একজন সাহসী সহযোদ্ধা আমাদের জীবন দিতে বাধ্য হন। তার আত্মসর্বস্ব উৎসর্গ আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, এবং এই শোকাবহ সময়ে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।