১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

গজারিয়া-মতলব উত্তর সড়কে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণের পূর্নাঙ্গ পরিদর্শন

সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৬ নভেম্বর, ২০২৫) মতলব উত্তর (চাঁদপুর) এবং গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলার সংযোগস্থলে নির্মাণাধীন মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু প্রকল্পের এলাকা পরিদর্শন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা, প্রকল্পের পরিচালক, প্রকল্পের দাপ্তরিক ব্যক্তিরা এবং উভয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।

প্রাতঃকাল দশটায় সচিব মহোদয় গজারিয়া উপজেলাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (N-1) ভবেরচর থেকে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর পর্যন্ত প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট ও নদীশাসনের বিষয়বস্তুর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এর মাধ্যমে নদীর গভীরতা, স্রোতের গতি ও ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকল্পের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করার ওপর গুরুত্ব দেন।

পরিদর্শনকালে সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হলো সমতা এবং সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে চাঁদপুরের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হিসেবে এটি ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল সড়কপথে ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে হয়, যা এই সেতুর মাধ্যমে অনেক সহজ ও দ্রুত হবে। বিশেষ করে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মাছ ও কৃষিপণ্যগুলো দ্রুত রাজধানীতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা প্রান্তিক চাষি ও ব্যবসায়ীদের জীবনমান উন্নত করবে।

তিনি আরো জানান, সেতুটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর চাপ কমবে এবং এই অঞ্চলে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হবে। সচিব মহোদয় আশ্বাস দেন, জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, দেশি-বিদেশি মানের প্রকৌশলী ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পের বিস্তারিত ডিজাইন ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে, এবং ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সচিব বলেন, মতলব উত্তর অংশের রাস্তাগুলোর প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনের শেষে তিনি মতলব উত্তর এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, এই সেতু হবে ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চার লেনের ক্যাবল স্টেইড সেতু, যার স্প্যানের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

গজারিয়া-মতলব উত্তর সড়কে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণের পূর্নাঙ্গ পরিদর্শন

প্রকাশিতঃ ০১:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৬ নভেম্বর, ২০২৫) মতলব উত্তর (চাঁদপুর) এবং গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলার সংযোগস্থলে নির্মাণাধীন মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু প্রকল্পের এলাকা পরিদর্শন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা, প্রকল্পের পরিচালক, প্রকল্পের দাপ্তরিক ব্যক্তিরা এবং উভয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।

প্রাতঃকাল দশটায় সচিব মহোদয় গজারিয়া উপজেলাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (N-1) ভবেরচর থেকে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর পর্যন্ত প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট ও নদীশাসনের বিষয়বস্তুর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এর মাধ্যমে নদীর গভীরতা, স্রোতের গতি ও ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকল্পের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করার ওপর গুরুত্ব দেন।

পরিদর্শনকালে সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হলো সমতা এবং সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে চাঁদপুরের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হিসেবে এটি ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল সড়কপথে ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে হয়, যা এই সেতুর মাধ্যমে অনেক সহজ ও দ্রুত হবে। বিশেষ করে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মাছ ও কৃষিপণ্যগুলো দ্রুত রাজধানীতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা প্রান্তিক চাষি ও ব্যবসায়ীদের জীবনমান উন্নত করবে।

তিনি আরো জানান, সেতুটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর চাপ কমবে এবং এই অঞ্চলে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হবে। সচিব মহোদয় আশ্বাস দেন, জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, দেশি-বিদেশি মানের প্রকৌশলী ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পের বিস্তারিত ডিজাইন ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে, এবং ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। সচিব বলেন, মতলব উত্তর অংশের রাস্তাগুলোর প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনের শেষে তিনি মতলব উত্তর এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, এই সেতু হবে ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চার লেনের ক্যাবল স্টেইড সেতু, যার স্প্যানের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ হবে।