জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বঙ্গবন্ধু জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন একটি গণভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ এ যদি ভোট দেয়, তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করবেন। এই প্রতিনিধি দল একইসঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেছিলেন, এই সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার প্রথম অধিবেশনের তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে। সংস্কার শেষ হলে, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দেশের ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ বা upper house গঠন করা হবে, যার মেয়াদ থাকবে নিম্নকক্ষে শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
গণভোটে প্রশ্নটি হবে: ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জিলায় জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
প্রথমত, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক সংস্থাগুলো জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী গঠন করা হবে।
দ্বিতীয়ত, আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। নির্বাচনপ্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠিত হবে, যেখানে সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হবে উভয় কক্ষের সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন।
তৃতীয়ত, নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দলের ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতিত্ব, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারের মতো বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবের ইতিবাচক সম্মতি হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
চতুর্থত, অন্যান্য সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে। গণভোটের দিনে এই চার বিষয়ের উপর একটিমাত্র প্রশ্নে ভোট দিতে হবে, যেখানে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার সুযোগ থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে এই ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা ইতিমধ্যে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল২৪ ডেস্ক 















