০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ

উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড়ে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে মোট ১৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ঋণ-অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা (১ ডলার সমান ৯৬ টাকা হিসেবে)। অর্থ ছাড়ের এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এই তিন মাসে ছাড় হয়েছিল ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ তিন মাসে অর্থছাড় তুলনামূলক কম হলেও ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি আগের সময়ের চেয়ে বেশি এসেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের এই তিন মাসে ৯ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি এলেও চলতি অর্থবছরের এ তিন মাসে প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ, নতুন করে এই ঋণের জন্য চুক্তি হয়েছে। করোনা মহামারি কাটিয়ে ওঠার পর দেশের উন্নয়ন প্রকল্পেও গতি ফিরে আসতে থাকে। এর ফলে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো অর্থের প্রবাহও বাড়িয়েছিল। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ ছাড় করেছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশগুলো। তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইআরডি কর্মকর্তারা বলছেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা মহামারি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ঋণসহায়তা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় গত বছরের চেয়ে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ১২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ১৮৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের এই তিন মাসে অনুদানের অর্থ ছাড় হয়েছিল ৭ কোটি ৫১ লাখ ডলার সমপরিমাণ। এবার তিন মাসে অনুদানের অর্থ ছাড় হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ ডলার।

জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আগে নেওয়া ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ৫২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত বছরের একই সময়ে সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ঋণ ও অনুদান মিলে মোট ১০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ

প্রকাশিতঃ ১২:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড়ে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে মোট ১৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ঋণ-অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা (১ ডলার সমান ৯৬ টাকা হিসেবে)। অর্থ ছাড়ের এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এই তিন মাসে ছাড় হয়েছিল ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ তিন মাসে অর্থছাড় তুলনামূলক কম হলেও ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতি আগের সময়ের চেয়ে বেশি এসেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের এই তিন মাসে ৯ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি এলেও চলতি অর্থবছরের এ তিন মাসে প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ, নতুন করে এই ঋণের জন্য চুক্তি হয়েছে। করোনা মহামারি কাটিয়ে ওঠার পর দেশের উন্নয়ন প্রকল্পেও গতি ফিরে আসতে থাকে। এর ফলে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো অর্থের প্রবাহও বাড়িয়েছিল। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ ছাড় করেছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশগুলো। তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইআরডি কর্মকর্তারা বলছেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা মহামারি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ঋণসহায়তা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় গত বছরের চেয়ে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ১২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ১৮৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের এই তিন মাসে অনুদানের অর্থ ছাড় হয়েছিল ৭ কোটি ৫১ লাখ ডলার সমপরিমাণ। এবার তিন মাসে অনুদানের অর্থ ছাড় হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ ডলার।

জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আগে নেওয়া ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ৫২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত বছরের একই সময়ে সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ঋণ ও অনুদান মিলে মোট ১০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।