দুদক সম্প্রতি জানিয়েছে তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের বিশদ হিসাব চাচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের অপরাধের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিনিধিদের সামনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মহাপরিচালক মো. আকতার হোসেন।
তিনি উল্লেখ করেন, দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ (১) ধারা এবং বিধিমালা ২০০৭-এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণী দাখিলের জন্য কঠোর নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। এই খেলায় রয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, যেমন কর কমিশনার ছাড়াও কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য, আয়কর গোয়েন্দা ও বিভিন্ন বিভাগের অতিরিক্ত ও যুগ্ম কমিশনাররা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর অঞ্চল ৩ এর এম এম ফজলুল হক, কর আপিল ট্রাইব্যুনালের লোকমান আহমেদ, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের সাহেলা সিদ্দিক, মো. মামুন মিয়া, হাছান তারিক রিকাবদার, মোনালিসা সাহরিন সুস্মিতা, মো. মোরশেদ উদ্দিন খান, মির্জা আশিক রানা, মো. শিহাবুল ইসলাম, আব্দুল রশিদ মিয়া, মো. কামরুজ্জামান, কাজী মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, সাধন কুমার কুন্ডু, মো. তারিক হাছান, মো. আলমগীর হোসেন, মো. লুৎফুল আযিম ও এ.কে.এম বদিউল আলম।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগে জানানো হয়, অসাধু কিছু কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকি দিতে করদাতাদের সুবিধা করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের লাভের জন্য করের পরিমাণ কমিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে, সরকারের রাজস্ব প্রত্যাশা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক আয় কমছে।