ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাত্র ৩ টাকায় সুস্বাদু রসগোল্লা পাওয়া যায়, যা শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবতা এই যে, এর স্বাদ এতই মজাদার যে, একবার খেলে আবারও কিনতে ইচ্ছে করে। ছোট আকারের হলেও এর স্বাদ বড় বড় দোকানের মিষ্টিকেও হার মানিয়েছে। খাঁটি ছানার তৈরি রসগোল্লা মুখে দিলেই গলে যায় এবং এতে কোনো ভেজাল, কৃত্রিম রং বা অতিরিক্ত ঘ্রাণ নেই; শুধুমাত্র খাঁটি দুধের স্বাদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশপুরের শিবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাল ঘোষ তিন দশকের বেশি সময় ধরে নিজ হাতে তৈরি এই প্রসিদ্ধ রসগোল্লা বাজারে বিক্রি করে আসছেন। প্রতিদিন সকালে বাইসাইকেলে করে বের হন এবং মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকাকে শুধু মাত্র পণ্যটি বিক্রি করতে ঘুরে যান। আগে যেখানে প্রতি রসগোল্লার দাম ছিল ২ টাকা, এখন সেটি বেড়ে ৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কিছুটা বাড়লেও ক্রেতাদের চাহিদা কমেনি, বরং বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি প্রায় এক হাজার পিস রসগোল্লা বিক্রি করেন, যা তাঁর সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট।
স্থানীয় একজন ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩ টাকায় এত সুস্বাদু রসগোল্লা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা প্রতিদিনই তার কাছ থেকে কিনি। দাম কম, স্বাদ অসাধারণ।’ অন্য একজন ক্রেতা, স্কুলশিক্ষক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বিশ্বস্তভাবে বলতে পারি, সুমাল ঘোষের তৈরি রসগোল্লা বড় দোকানের থেকে অনেক বেশি খাঁটি ও স্বাদে দুর্দান্ত। তাই বাজারের অন্যান্য মিষ্টির দোকান থাকলেও, মানুষ ওনার কাছেই ভিড় জমায়।’
মহেশপুরের বাসিন্দা রাসেল হোসেনও বলেন, ‘সুমাল ঘোষের রসগোল্লা এখন এলাকার এক জনপ্রিয় নাম। কম দামে মানসম্মত মিষ্টি পেয়ে ক্রেতাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।’ এই প্রসঙ্গে সুমাল ঘোষ বলেন, ‘কম লাভের ব্যবসাই আমার মূলনীতি। দিনে কমপক্ষে এক হাজার পিস বিক্রি করতে পারলেই আমার সংসার চলে যায়। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মানুষ আমার মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করছে, এটিই আমার الجو큰 প্রাপ্তি।’