বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন ধরে যশোরের বেনাপোলস্থলবন্দর দিয়ে সবধরনের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে পণ্য ওঠানামা, খালাস এবং বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকবে, বলেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, পুজোর কারণে ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। টানা এই পাঁচদিন বন্ধ থাকার ফলে পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যজনিত জটের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ৪ অক্টোবর শনিবার এই কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ওপার থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, পাঁচ দিন এই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে পেট্রাপোল বন্দরে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়বে, যার অধিকাংশই বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি বলেন, পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যানবাহন থেকে যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে পারাপার করতে পারবেন।
বেনাপোলস্থলবন্দরের ট্রাফিক পরিচালক মো. শামীম হোসেন জানান, সরকারী ছুটি ১ ও ২ অক্টোবর। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সবধরনের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
ভারতের দুর্গা পূজার ছুটির কারণে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য বন্ধ থাকবে, কিন্তু বন্দরে ও শুল্ক ভবনে কাজকর্ম স্বাভাবিক থাকবে। পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাকগুলো পাশ ফিরে যেতে পারবে।