০২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

তারেক রহমান warns of hidden authoritarianism in future politics

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে। তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকি এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো একসঙ্গে কাজ না করে, তাহলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচার কিভাবে দেশে প্রবেশ করেছিল, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতেওই স্বৈরাচার সংগঠিত হতে পারে।

তরিক রহমান বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে; সবকিছুর কেন্দ্রে থাকবে বাংলাদেশ। তিনি উল্লেখ করেন, এটি আমাদের শুরু এবং শেষের লাইন। শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এই সম্মেলন ছিল ১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রথম বৃহৎ আসর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন এবং পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ‘অতীতে অনেক বক্তৃতা হয়েছে, এখন আমাদের কর্মের পালা। সম্মেলনের শ্লোগান হওয়া উচিত- ঐক্য, জনগণ ও পুনর্গঠন। আমাদের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে আন্দোলন করে গেছেন, কারাবরণ করেছেন, গুম হয়েছেন। স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে—এটাই বিশাল সংগ্রামের ফল। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময়, সবাই একসঙ্গে কাজ করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে, সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বুঝতে হবে। মিটিং-মিছিলে সমস্যা সমাধান হবে না, প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। মানুষকে কাছে থেকে বুঝতে হবে, তাদের স্বপ্ন ও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য—সব ভেদাভেদ ভুলে একযোগে কাজ করা, জনগণের পাশে দাঁড়ানো। দেশ গঠনই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’’

তারেক রহমান ব্যাখ্যা করেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এক স্বৈরশাসক দেশের কাঁধে চেপে বসেছিল, যা পরে জনগণ আন্দোলন করে সরিয়ে দেয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখ করেন, এরপর আবার স্বৈরাচার ফিরে আসে, কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে গুরুতর স্বৈরাচারও বিতাড়িত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আরও এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, সেটিও জনগণের সক্রিয় আন্দোলনে সরানো হয়। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশের পুনর্গঠন। এই জন্য সকলের ঐক্য অপরিহার্য।’

তারেক রহমান দেশের জনগণের ঘর গঠনের analogy দিয়ে বলেন, ‘একটি সুন্দর ঘর গড়তে শ্রম, সহমর্মিতা ও ঐক্য দরকার। দেশের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ। আমাদের লক্ষ্য, সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাহারাদারদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝে কাজ করা।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে দেশের জনগণ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও দুর্বার সংগ্রাম করেছেন, পতন করেছেন স্বৈরাচারকে। এখন আমাদের সামনে মূল কাজ হলো দেশ গঠন ও পুনর্গঠন। দেশের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের সকলের একত্রে থাকতেই হবে।’

সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি এবং সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

তারেক রহমান warns of hidden authoritarianism in future politics

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে। তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকি এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো একসঙ্গে কাজ না করে, তাহলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচার কিভাবে দেশে প্রবেশ করেছিল, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতেওই স্বৈরাচার সংগঠিত হতে পারে।

তরিক রহমান বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে; সবকিছুর কেন্দ্রে থাকবে বাংলাদেশ। তিনি উল্লেখ করেন, এটি আমাদের শুরু এবং শেষের লাইন। শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এই সম্মেলন ছিল ১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রথম বৃহৎ আসর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন এবং পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ‘অতীতে অনেক বক্তৃতা হয়েছে, এখন আমাদের কর্মের পালা। সম্মেলনের শ্লোগান হওয়া উচিত- ঐক্য, জনগণ ও পুনর্গঠন। আমাদের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে আন্দোলন করে গেছেন, কারাবরণ করেছেন, গুম হয়েছেন। স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে—এটাই বিশাল সংগ্রামের ফল। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময়, সবাই একসঙ্গে কাজ করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে, সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বুঝতে হবে। মিটিং-মিছিলে সমস্যা সমাধান হবে না, প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। মানুষকে কাছে থেকে বুঝতে হবে, তাদের স্বপ্ন ও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য—সব ভেদাভেদ ভুলে একযোগে কাজ করা, জনগণের পাশে দাঁড়ানো। দেশ গঠনই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’’

তারেক রহমান ব্যাখ্যা করেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এক স্বৈরশাসক দেশের কাঁধে চেপে বসেছিল, যা পরে জনগণ আন্দোলন করে সরিয়ে দেয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য উল্লেখ করেন, এরপর আবার স্বৈরাচার ফিরে আসে, কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে গুরুতর স্বৈরাচারও বিতাড়িত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আরও এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, সেটিও জনগণের সক্রিয় আন্দোলনে সরানো হয়। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশের পুনর্গঠন। এই জন্য সকলের ঐক্য অপরিহার্য।’

তারেক রহমান দেশের জনগণের ঘর গঠনের analogy দিয়ে বলেন, ‘একটি সুন্দর ঘর গড়তে শ্রম, সহমর্মিতা ও ঐক্য দরকার। দেশের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ। আমাদের লক্ষ্য, সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাহারাদারদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝে কাজ করা।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে দেশের জনগণ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও দুর্বার সংগ্রাম করেছেন, পতন করেছেন স্বৈরাচারকে। এখন আমাদের সামনে মূল কাজ হলো দেশ গঠন ও পুনর্গঠন। দেশের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের সকলের একত্রে থাকতেই হবে।’

সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি এবং সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।