ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আজ রোববার তাদের জাহাজ পৌঁছানোর কথা থাকলেও দেরিতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন দৃকদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। ছোট নৌকাগুলোর কাছাকাছি থাকায় গতি কমিয়ে দেওয়ায় এই বিলম্ব হয়েছে। তবে কোথায় বা কখন তাদের আটকানো হতে পারে, তা আগে থেকে বলা খুবই কঠিন বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
শহিদুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকাল ১১টার পরে এক পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, ‘আপুরি শান্ত সমুদ্র और সূর্যের খেলা। আমি গত রাতে খোলা ডেকে ঘুমিয়েছি। আমাদের গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ছোট নৌকাগুলোর কাছাকাছি থাকতে গতি কমিয়ে দেওয়ায় এখন আরও দেরি হবে। তবে বিপদের অঞ্চল অনেক আগেই শুরু হয়, আর কোথায় বা কখন আমরা আটকানো হতে পারি, সেটা আগে থেকে জানা অনেক কঠিন।’
শহিদুল আলম এখন গাজা অভিমুখে থাকার নৌযান কনশানসের সঙ্গে রয়েছেন। কনশানস হলো একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নামে দুটি সংস্থার যৌথভাবে পরিচালিত নৌবহর।
এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠিত একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নামে এই উদ্যোগের আওতায় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের নৌবহর একত্রিত হয়।
শহিদুল আলম বলেন, ‘আমি যে কনশানস নামের নৌযানে আছি, সেটি এই বহরের সবচেয়ে বড়। এটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে রওনা দিয়েছিল। এর আগে রওনা দেয় আরও আটটি নৌকা, আর আরও দুটি নৌকা সম্ভবত আগে ছিল, তবে তাদের অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও কনশানস অনেক পরে রওনা দেয়, তবুও এর গতি বেশি হওয়ায় এটি আটটি নৌযানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল সম্প্রতি দুই বছর ধরে বিদেশি সাংবাদিক এবং ফিলিস্তিনীদের গাজায় প্রবেশে কঠোর বাধা দিচ্ছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০-এর বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন; অনেকে আটক ও কারাগারে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে গাজায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং স্বস্তির জন্য এই নৌবহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।