০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অস্থায়ী সরকারি নির্দেশে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের আসার খবর ছড়িয়ে পড়তে সঙ্গে সঙ্গে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ভৈরব স্টেশনে পৌঁছে তিনি পরে সড়ক পথে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভৈরব শহর এখন বাণিজ্য ও পর্যটনের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হওয়ায় আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ট্রেনে চড়ে এখান দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যান। পাশাপাশি শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশের মোড়ের কাছে অবস্থিত তিনটি স্কুল রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন হাজারও ছাত্র-ছাত্রী এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টন আবর্জনা ফেলা হয়, যা প্রবল দুর্দন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবর্জনা সড়কের পাশাপাশি রেলওয়ের পুকুরে ফেলা হয়, যার ফলে পুকুরের এক-তৃতীয়াংশই ভরে গেছে ময়লার স্তূপে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থীরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, পৌর প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে এই আবর্জনা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় এবং নির্ধারিত স্থানগুলোতে ফেলা হয়। এরফলে এলাকাবাসী ও পথচারীরা দুর্গন্ধ ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে।

জাকির হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, এতদিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে পথচারীরা খুবই দুর্ভোগের মধ্যে ছিল। কিন্তু আজকে যখন জানা গেল যে, উপদেষ্টা আগমনের জন্য এই অংশটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে এবং আবর্জনা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দুর্গন্ধ কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তখন কিছুটা স্বস্তি হয়েছে।

অন্যদিকে, ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া জানান, আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য এই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করি। কিন্তু এখানে ফেলা ময়লা ও আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

ভৈরব পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রোকন বলেন, পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ময়লা রেললাইনের পাশে ফেলা হয়। আমরা প্রতিদিনই এগুলো পরিষ্কার করি। তবে আজকে সরকারের রেলপথ উপদেষ্টার আগমনের জন্য এই অংশটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে যাতে পর্যটক ও অতিথিদের চোখে না পড়ে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে অস্থায়ী সরকারি নির্দেশে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের আসার খবর ছড়িয়ে পড়তে সঙ্গে সঙ্গে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে ভৈরব স্টেশনে পৌঁছে তিনি পরে সড়ক পথে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ভৈরব শহর এখন বাণিজ্য ও পর্যটনের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হওয়ায় আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ট্রেনে চড়ে এখান দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যান। পাশাপাশি শহরের ঘোড়াকান্দা পলাশের মোড়ের কাছে অবস্থিত তিনটি স্কুল রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন হাজারও ছাত্র-ছাত্রী এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টন আবর্জনা ফেলা হয়, যা প্রবল দুর্দন্ধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবর্জনা সড়কের পাশাপাশি রেলওয়ের পুকুরে ফেলা হয়, যার ফলে পুকুরের এক-তৃতীয়াংশই ভরে গেছে ময়লার স্তূপে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থীরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, পৌর প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে এই আবর্জনা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় এবং নির্ধারিত স্থানগুলোতে ফেলা হয়। এরফলে এলাকাবাসী ও পথচারীরা দুর্গন্ধ ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে।

জাকির হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, এতদিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশে ময়লার স্তূপের কারণে পথচারীরা খুবই দুর্ভোগের মধ্যে ছিল। কিন্তু আজকে যখন জানা গেল যে, উপদেষ্টা আগমনের জন্য এই অংশটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে এবং আবর্জনা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দুর্গন্ধ কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তখন কিছুটা স্বস্তি হয়েছে।

অন্যদিকে, ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া জানান, আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য এই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করি। কিন্তু এখানে ফেলা ময়লা ও আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

ভৈরব পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম রোকন বলেন, পৌরসভার নির্দিষ্ট ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় শহরের ময়লা রেললাইনের পাশে ফেলা হয়। আমরা প্রতিদিনই এগুলো পরিষ্কার করি। তবে আজকে সরকারের রেলপথ উপদেষ্টার আগমনের জন্য এই অংশটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে যাতে পর্যটক ও অতিথিদের চোখে না পড়ে।