০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরির প্রয়োজনীয়তা 강조 ঢাকার সবচেয়ে বড় লাইভ মিউজিক রেস্টুরেন্ট আইসিসিএল গোরমে চালু মিরপুরে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ মৃত্যুর শোকাবহ ঘটনা অবশেষে নিভে গেল আগুন, ধোঁয়া এখনও বের হচ্ছে এবং কেমিক্যালের প্রভাবে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনের প্রতিবেদন ৮ জানুয়ারিতে জমার নির্দেশ ২০ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জে.সি. বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ভারতের তিনটি কফ সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা রামগতি-কমলনগরে এক লাখ ৩০ হাজার গবাদি পশুর জন্য আতঙ্কের ভেতর খামারিরা হানিফসহ চারজনের আদালত হাজিরা için বিজ্ঞপ্তি জারি নির্দেশ ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও আহ্বান

অবশেষে নিভে গেল আগুন, ধোঁয়া এখনও বের হচ্ছে এবং কেমিক্যালের প্রভাবে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়ী অঞ্চলে আগুনে পুড়ে যাওয়া কেমিক্যাল গুদাম থেকে এখনো প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গুদাম সংলগ্ন রাইজিং ফ্যাশন নামের một গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কেমিক্যালের বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ওই কেমিক্যাল গুদাম থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দপ্তর বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আরেক দিকে, গুদামে থাকা কেমিক্যাল থেকে বের হওয়া বিষাক্ত গ্যাসের কারণে গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জানানো হয়, যখন আগুন লাগে তখন গুদামে থাকা কলেবর কেমিক্যালের গ্যাস পুরো ভবনকে ঘিরে ফেলেছিল, যার ফলে শ্রমিকরা কাজের ভেতরেই অস্বস্তিতে পড়েন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাইজিং ফ্যাশনের শ্রমিক মো. আল আমিন বলেন, ‘গুদাম থেকে বের হওয়া বিষাক্ত গ্যাসে গার্মেন্টসটি ভরে গিয়েছিল। আমরা যখন কাজ করতে এসেছিলাম, তখনই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।’ ঘটনাস্থলে কাজরত শ্রমিকরা অনেকের বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃততাদের শ্বাসরোধে বা বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসে মারা গেছে। আহত ও দগ্ধের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ১২টির বেশি ইউনিট। ভবনের ভিতরে রাসায়নিকের উপস্থিতি ও গ্যাসের কারণেই ভেতরে প্রবেশে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়, যার ফলে উদ্ধার কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়। পুরো এলাকায় ধোঁয়া ও গ্যাসের অবস্থা তৈরি থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চলতে থাকছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

চাকসু নির্বাচনে কালি মুছে যাচ্ছে, ছাত্রদল অভিযোগ

অবশেষে নিভে গেল আগুন, ধোঁয়া এখনও বের হচ্ছে এবং কেমিক্যালের প্রভাবে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকার শিয়ালবাড়ী অঞ্চলে আগুনে পুড়ে যাওয়া কেমিক্যাল গুদাম থেকে এখনো প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গুদাম সংলগ্ন রাইজিং ফ্যাশন নামের một গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কেমিক্যালের বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ওই কেমিক্যাল গুদাম থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দপ্তর বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আরেক দিকে, গুদামে থাকা কেমিক্যাল থেকে বের হওয়া বিষাক্ত গ্যাসের কারণে গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জানানো হয়, যখন আগুন লাগে তখন গুদামে থাকা কলেবর কেমিক্যালের গ্যাস পুরো ভবনকে ঘিরে ফেলেছিল, যার ফলে শ্রমিকরা কাজের ভেতরেই অস্বস্তিতে পড়েন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাইজিং ফ্যাশনের শ্রমিক মো. আল আমিন বলেন, ‘গুদাম থেকে বের হওয়া বিষাক্ত গ্যাসে গার্মেন্টসটি ভরে গিয়েছিল। আমরা যখন কাজ করতে এসেছিলাম, তখনই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।’ ঘটনাস্থলে কাজরত শ্রমিকরা অনেকের বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃততাদের শ্বাসরোধে বা বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসে মারা গেছে। আহত ও দগ্ধের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ১২টির বেশি ইউনিট। ভবনের ভিতরে রাসায়নিকের উপস্থিতি ও গ্যাসের কারণেই ভেতরে প্রবেশে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়, যার ফলে উদ্ধার কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়। পুরো এলাকায় ধোঁয়া ও গ্যাসের অবস্থা তৈরি থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চলতে থাকছে।