০১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

তৃতীয় দফায় রিমান্ডে বাংলাদেশের প্রকৃতিবাদী মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম

সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় তাকে দুই দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

নথি অনুযায়ী, এনায়েত করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তার সাক্ষাৎকারের জন্য এই রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানির সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিনের জন্য আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত যাবতীয় যুক্তি বিবেচনা করে তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমাণ্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, এনায়েত করিম ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান এবং ২০০৪ সালে তিনি আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাটার লক্ষ্যে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠে। ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সারে দশটার দিকে মিন্টো রোডের এলাকায় সন্দেহজনকভাবে গাড়ি চালিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন এনায়েত করিম। সন্দেহজনক দেখে পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে জানতে চান কেন তিনি এভাবে ঘোরাফেরা করছেন, কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। এরপর রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়।

এই মামলায় দুই দফায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পরে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন সহযোগী ও রাজনৈতিক নেতাদের রিমান্ডে নিয়েও তদন্ত চালানো হয়। এনায়েত করিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন সময় তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়, যেমন—এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদ এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেল।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

তৃতীয় দফায় রিমান্ডে বাংলাদেশের প্রকৃতিবাদী মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম

প্রকাশিতঃ ০৭:৫২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় তাকে দুই দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

নথি অনুযায়ী, এনায়েত করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তার সাক্ষাৎকারের জন্য এই রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানির সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিনের জন্য আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত যাবতীয় যুক্তি বিবেচনা করে তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমাণ্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, এনায়েত করিম ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান এবং ২০০৪ সালে তিনি আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাটার লক্ষ্যে অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠে। ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সারে দশটার দিকে মিন্টো রোডের এলাকায় সন্দেহজনকভাবে গাড়ি চালিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন এনায়েত করিম। সন্দেহজনক দেখে পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে জানতে চান কেন তিনি এভাবে ঘোরাফেরা করছেন, কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। এরপর রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়।

এই মামলায় দুই দফায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পরে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন সহযোগী ও রাজনৈতিক নেতাদের রিমান্ডে নিয়েও তদন্ত চালানো হয়। এনায়েত করিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন সময় তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়, যেমন—এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদ এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেল।