১১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

‘বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে বাজারে ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ-মাংস, সবজিসহ মুদি পণ্যের দাম। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম।

শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ফার্মের মুরগির বাদামি ও সাদা ডিম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাদামি রঙের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ও সাদা রঙের ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা রাখা হচ্ছে। অবশ্য হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সপ্তাহের বাজার করতে আসা সেলিম মণ্ডল জানান, ‘বাজারে আসতে ভয় লাগে। দাম তো বেড়েই যাচ্ছে। বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে। বাজারের হিসাব মেলেতে হিমশিম খাচ্ছি।’

ডিমের মতো বেড়েছে মাছের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাস-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেতো। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ছিলো।

এদিকে মাছের মতো বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা। বকরির মাংস ১০০০ টাকা।

মাছ, মাংসের মতো অস্থির দেখা গেছে সবজির বাজার। বাজারভেদে পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়া।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা এবং চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি। মসলার বাজারে আদার দামে অস্থিরতা কাটেনি। এক কেজি আদা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি। অন্যদিকে আমদানি করা চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

‘বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে’

প্রকাশিতঃ ০১:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে বাজারে ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ-মাংস, সবজিসহ মুদি পণ্যের দাম। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম।

শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ফার্মের মুরগির বাদামি ও সাদা ডিম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাদামি রঙের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ও সাদা রঙের ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা রাখা হচ্ছে। অবশ্য হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সপ্তাহের বাজার করতে আসা সেলিম মণ্ডল জানান, ‘বাজারে আসতে ভয় লাগে। দাম তো বেড়েই যাচ্ছে। বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে। বাজারের হিসাব মেলেতে হিমশিম খাচ্ছি।’

ডিমের মতো বেড়েছে মাছের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাস-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেতো। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ছিলো।

এদিকে মাছের মতো বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা। বকরির মাংস ১০০০ টাকা।

মাছ, মাংসের মতো অস্থির দেখা গেছে সবজির বাজার। বাজারভেদে পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়া।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা এবং চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি। মসলার বাজারে আদার দামে অস্থিরতা কাটেনি। এক কেজি আদা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি। অন্যদিকে আমদানি করা চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।