০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

‘বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে বাজারে ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ-মাংস, সবজিসহ মুদি পণ্যের দাম। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম।

শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ফার্মের মুরগির বাদামি ও সাদা ডিম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাদামি রঙের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ও সাদা রঙের ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা রাখা হচ্ছে। অবশ্য হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সপ্তাহের বাজার করতে আসা সেলিম মণ্ডল জানান, ‘বাজারে আসতে ভয় লাগে। দাম তো বেড়েই যাচ্ছে। বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে। বাজারের হিসাব মেলেতে হিমশিম খাচ্ছি।’

ডিমের মতো বেড়েছে মাছের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাস-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেতো। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ছিলো।

এদিকে মাছের মতো বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা। বকরির মাংস ১০০০ টাকা।

মাছ, মাংসের মতো অস্থির দেখা গেছে সবজির বাজার। বাজারভেদে পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়া।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা এবং চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি। মসলার বাজারে আদার দামে অস্থিরতা কাটেনি। এক কেজি আদা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি। অন্যদিকে আমদানি করা চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

‘বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে’

প্রকাশিতঃ ০১:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে বাজারে ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ-মাংস, সবজিসহ মুদি পণ্যের দাম। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মুরগির বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম।

শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ বাড়তে থাকা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ফার্মের মুরগির বাদামি ও সাদা ডিম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাদামি রঙের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ও সাদা রঙের ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা রাখা হচ্ছে। অবশ্য হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সপ্তাহের বাজার করতে আসা সেলিম মণ্ডল জানান, ‘বাজারে আসতে ভয় লাগে। দাম তো বেড়েই যাচ্ছে। বাজারে একটার দাম কমলে আরেকটার দাম বাড়ে। বাজারের হিসাব মেলেতে হিমশিম খাচ্ছি।’

ডিমের মতো বেড়েছে মাছের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাস-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেতো। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ছিলো।

এদিকে মাছের মতো বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। আজ প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা। বকরির মাংস ১০০০ টাকা।

মাছ, মাংসের মতো অস্থির দেখা গেছে সবজির বাজার। বাজারভেদে পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়া।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা এবং চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি। মসলার বাজারে আদার দামে অস্থিরতা কাটেনি। এক কেজি আদা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি। অন্যদিকে আমদানি করা চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।