১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে ১৭১ বিদেশি জাহাজ নোঙর

দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নোঙর করা জাহাজগুলোর মধ্যে ১২টি জাহাজ ৮ হাজার ৫১৪ টিইইউ কন্টেইনার বহন করছে, যখন ৬টি জাহাজে ২ হাজার ১১৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দর দিয়ে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহন সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বন্দরে জাহাজ আগমন আরও বৃদ্ধি পায় নানা উদ্যোগের মাধ্যমে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা এবং পাথর বহনকারী ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ বর্তমানে বন্দর জেটি ও হারবাড়িয়া বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা ও মুরিং বোয়া পয়েন্টের স্থায়ী নোঙর ওয়েতে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক জোগানশক্তি, যা লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে। এই বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়, যা দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও অন্যান্য পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। মাকরুজ্জামান আরও জানান, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে জাহাজ আগমন, আমদানি ও রপ্তানি পণ্য সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরবরাহকারীর চাহিদায় রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানিও বেড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর বিশ্বে এক পরিবেশবান্ধব ও ব্যবসা-বান্ধব কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে ১৭১ বিদেশি জাহাজ নোঙর

প্রকাশিতঃ ০৮:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নোঙর করা জাহাজগুলোর মধ্যে ১২টি জাহাজ ৮ হাজার ৫১৪ টিইইউ কন্টেইনার বহন করছে, যখন ৬টি জাহাজে ২ হাজার ১১৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দর দিয়ে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহন সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বন্দরে জাহাজ আগমন আরও বৃদ্ধি পায় নানা উদ্যোগের মাধ্যমে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা এবং পাথর বহনকারী ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ বর্তমানে বন্দর জেটি ও হারবাড়িয়া বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা ও মুরিং বোয়া পয়েন্টের স্থায়ী নোঙর ওয়েতে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক জোগানশক্তি, যা লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে। এই বন্দর দিয়ে খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়, যা দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও অন্যান্য পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। মাকরুজ্জামান আরও জানান, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে জাহাজ আগমন, আমদানি ও রপ্তানি পণ্য সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরবরাহকারীর চাহিদায় রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানিও বেড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর বিশ্বে এক পরিবেশবান্ধব ও ব্যবসা-বান্ধব কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।