০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে ট্রাভেল পাস জরুরি, ১২ নির্দেশনা জারি

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ রক্ষা করতে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। প্রথমবারের মতো দ্বীপে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন হবে ট্রাভেল পাস, যা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো পর্যটনের অপ্রতিরোধ্য বিস্তারজনিত কারণে দ্বীপের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবেশের ক্ষতি কমানো।

২১ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা থেকে প্রকাশিত এই নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২ দফা নিয়মাবলী জারি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এখন থেকে জনসাধারণ ও পর্যটকরা দ্বীপে প্রবেশের জন্য অনুমোদিত নৌযান ছাড়া চলাচল করতে পারবে না।

এছাড়াও, পর্যটকদের বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোডসহ টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এই টিকিটের মাধ্যমে পর্যটকদের তালিকা ও যাচাই-বাছাই সহজ হবে। দ্বীপে ভ্রমণের সময়সূচি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং চলতি মৌসুমে রাতে দ্বীপে প্রবেশ বা অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সীমিত পরিমাণে রাত্রীকালীন অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে সম্পূর্ণভাবে পর্যটকদের আসা-যাওয়া বন্ধ থাকবে।

প্রতি দিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকের বেশি দ্বীপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, দ্বীপের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে রাতের দিকে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ করা বা বারবিকিউ পার্টি আয়োজনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গীদের সঙ্গে কেয়া ফল সংগ্রহ, সামুদ্রিক কাছিম ও প্রজাতির ক্ষতি, প্রবালের ক্ষতি বা জীববৈচিত্র্য হানির জন্য দায়ী এমন কোনো কাজই চলবে না।

সৈকতে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনও মোটরচালিত যানবাহন চলাচলও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তদ্ব্যতীত, নিষিদ্ধ পলিথিন ও একবার ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের সামগ্রী যেমন চিপসের প্যাকেট, স্ট্র, প্লাস্টিক চামচ, ছোট পাত্র ও পানির বোতল বহনেও বিধিনিষেধ চলছে। পর্যটকদের urged করা হয়েছে নিজেদের ফ্লাস্ক বা বোতল সঙ্গে রাখার জন্য, যাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমে আসে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটনের অপ্রতিরোধ্য ভূমিকা ও অব্যবস্থাপনায় সেন্টমার্টিনের ইকোসিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখন থেকে প্রতিটি পর্যটন কার্যক্রম ডিজিটাল ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে মনিটরинг ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এইসব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা সম্ভব হবে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দরতা সংরক্ষিত থাকবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

সেন্টমার্টিন ভ্রমণে ট্রাভেল পাস জরুরি, ১২ নির্দেশনা জারি

প্রকাশিতঃ ০৯:৫২:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ রক্ষা করতে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। প্রথমবারের মতো দ্বীপে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন হবে ট্রাভেল পাস, যা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো পর্যটনের অপ্রতিরোধ্য বিস্তারজনিত কারণে দ্বীপের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবেশের ক্ষতি কমানো।

২১ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা থেকে প্রকাশিত এই নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২ দফা নিয়মাবলী জারি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এখন থেকে জনসাধারণ ও পর্যটকরা দ্বীপে প্রবেশের জন্য অনুমোদিত নৌযান ছাড়া চলাচল করতে পারবে না।

এছাড়াও, পর্যটকদের বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোডসহ টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এই টিকিটের মাধ্যমে পর্যটকদের তালিকা ও যাচাই-বাছাই সহজ হবে। দ্বীপে ভ্রমণের সময়সূচি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং চলতি মৌসুমে রাতে দ্বীপে প্রবেশ বা অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সীমিত পরিমাণে রাত্রীকালীন অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে সম্পূর্ণভাবে পর্যটকদের আসা-যাওয়া বন্ধ থাকবে।

প্রতি দিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকের বেশি দ্বীপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, দ্বীপের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে রাতের দিকে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ করা বা বারবিকিউ পার্টি আয়োজনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গীদের সঙ্গে কেয়া ফল সংগ্রহ, সামুদ্রিক কাছিম ও প্রজাতির ক্ষতি, প্রবালের ক্ষতি বা জীববৈচিত্র্য হানির জন্য দায়ী এমন কোনো কাজই চলবে না।

সৈকতে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনও মোটরচালিত যানবাহন চলাচলও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তদ্ব্যতীত, নিষিদ্ধ পলিথিন ও একবার ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিকের সামগ্রী যেমন চিপসের প্যাকেট, স্ট্র, প্লাস্টিক চামচ, ছোট পাত্র ও পানির বোতল বহনেও বিধিনিষেধ চলছে। পর্যটকদের urged করা হয়েছে নিজেদের ফ্লাস্ক বা বোতল সঙ্গে রাখার জন্য, যাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমে আসে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটনের অপ্রতিরোধ্য ভূমিকা ও অব্যবস্থাপনায় সেন্টমার্টিনের ইকোসিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখন থেকে প্রতিটি পর্যটন কার্যক্রম ডিজিটাল ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে মনিটরинг ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এইসব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা সম্ভব হবে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দরতা সংরক্ষিত থাকবে।