০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

নিরপেক্ষতা নিয়ে সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নিরপেক্ষ ও সুসংগঠিত নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩৬ দফা প্রস্তাবসংবলিত একটি রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। এই প্রস্তাবনা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের উচ্চপর্যায়ের একজন প্রতিনিধি দল। ওই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি এই ৩৬ দফার প্রস্তাবনা সরাসরি সিইসির কাছে তুলে ধরবেন। জানা গেছে, গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এই রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠকটির মূল লক্ষ্য হলো নিশ্চিত করা যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। বিএনপি এই প্রস্তাবনার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক।

প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবী, যার মধ্যে রয়েছে— বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট যারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন, তারা কোনওভাবে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকার সুযোগ পাবে না। এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামীর মতো চারটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত নির্বাচনী কাজ বা ভোটগ্রহণে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে না, কারণ এসব কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেয় বলে মনে করে দলটি।

৩৬ দফায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে—
– নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে।
– মাঠ প্রশাসনকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে যোগ্য ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনজনিত কমিটি ও বোর্ডের তড়িঘড়ি কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।
– স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দায়ের করা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
– সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
– অভিযোগ কেন্দ্র চালু করে দ্রুত অভিযোগের নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরেকটি গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে— সরকারে কিছু উপদেষ্টা, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত ব্যক্তিরা, পক্ষপাতিত্ব করছে ও নিরপেক্ষতার বর্ষপাত্র ক্ষুণ্ণ করছে। বিএনপি তাদের দাবি, প্রশাসনে জামায়াত-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পদোন্নতি ও নিয়োগের কারণে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ে।

অতএব, দলটি গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে নিরপেক্ষতায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। বিএনপি চাইছে, সরকার এখন থেকে নিজেকে সবার জন্য নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। সূত্র জানায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদেও পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নিরপেক্ষতা নিয়ে সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ

প্রকাশিতঃ ০৯:৫২:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নিরপেক্ষ ও সুসংগঠিত নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩৬ দফা প্রস্তাবসংবলিত একটি রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। এই প্রস্তাবনা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের উচ্চপর্যায়ের একজন প্রতিনিধি দল। ওই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি এই ৩৬ দফার প্রস্তাবনা সরাসরি সিইসির কাছে তুলে ধরবেন। জানা গেছে, গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এই রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠকটির মূল লক্ষ্য হলো নিশ্চিত করা যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। বিএনপি এই প্রস্তাবনার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক।

প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবী, যার মধ্যে রয়েছে— বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট যারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন, তারা কোনওভাবে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকার সুযোগ পাবে না। এছাড়াও, জামায়াতে ইসলামীর মতো চারটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত নির্বাচনী কাজ বা ভোটগ্রহণে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে না, কারণ এসব কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেয় বলে মনে করে দলটি।

৩৬ দফায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে—
– নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে।
– মাঠ প্রশাসনকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে যোগ্য ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনজনিত কমিটি ও বোর্ডের তড়িঘড়ি কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।
– স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দায়ের করা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
– সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
– অভিযোগ কেন্দ্র চালু করে দ্রুত অভিযোগের নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরেকটি গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে— সরকারে কিছু উপদেষ্টা, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত ব্যক্তিরা, পক্ষপাতিত্ব করছে ও নিরপেক্ষতার বর্ষপাত্র ক্ষুণ্ণ করছে। বিএনপি তাদের দাবি, প্রশাসনে জামায়াত-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পদোন্নতি ও নিয়োগের কারণে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ে।

অতএব, দলটি গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে নিরপেক্ষতায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। বিএনপি চাইছে, সরকার এখন থেকে নিজেকে সবার জন্য নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। সূত্র জানায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদেও পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।