১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
বাজারে ক্ষতিকর রঙ মেশানো ‘মুগ’ ডাল! নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা নির্বাচনী উৎসবের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, ভোটে জনগণের আস্থা জোরদার মির্জা ফখরুল: সরকারের এখতিয়ার নয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্রুত গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন ডিসেম্বরে দেশের দেড় কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে জাতীয় নির্বাচনের দিন বা আগে গণভোটের সুপারিশ সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্যের’ প্রচেষ্টা নিয়েছে ভোটার হতে গেলে ঘুষ দরকার: দুর্নীতির খবর শিরোনাম ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ ২৫০ কিমি ঘণ্টায় তাণ্ডব, ক্যারিবীয় অঞ্চলে নিহত ৭ অ্যাটর্নি অফিসে ‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের’ নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্যের’ প্রচেষ্টা নিয়েছে

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ‘জাতীয় অনৈক্য’ সৃষ্টি করার জন্য ক্ষমতাসীন পক্ষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সাথে অকো দেখা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। এই সময় তিনি বলেন, জুলাইয়ের জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে কিছু পরামর্শ ও নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় সনদের অনেক দফায় বিভিন্ন দলের ভিন্ন মতামত থাকলেও, আজকের প্রস্তাবনায় সেই নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ওই স্বাক্ষরিত জাতীয় সনদের খসড়ায় বেশ কিছু সুপারিশ ও মন্তব্য রয়েছে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, মেয়াদে বিভিন্ন মতামত থাকলেও, তা যদি দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হয়, তাহলেই তার বাস্তবায়ন সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে প্রকাশিত সুপারিশে সেই নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। সরকার সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের ধারণা এখানে নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা আগে কখনো আলোচনা বা ঐকমত্যে আসেনি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ৯০ বা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হবে — এমন দাবি অদ্ভুত ও হাস্যকর। সালাহউদ্দিন আহমদ বিশ্বাস প্রকাশ করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে, প্রতীক দ্বৈত নির্বাচনে থাকা উচিত নয়—এমনই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি, আরপিওর আগের আইনের অনুরূপ ব্যবস্থা চালু রাখতে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নয়, সরকার প্রস্তুত। বেসামরিক ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত জোট নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি-ননসিপি জোট কি করবেঃ এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকল দল নিজেদের স্বার্থে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিয়ে একযোগে কাজ করবে। অধীর আগ্রহে অনুরোধ করেছেন, দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্যের’ প্রচেষ্টা নিয়েছে

প্রকাশিতঃ ১১:৪৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ‘জাতীয় অনৈক্য’ সৃষ্টি করার জন্য ক্ষমতাসীন পক্ষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টার সাথে অকো দেখা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। এই সময় তিনি বলেন, জুলাইয়ের জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে কিছু পরামর্শ ও নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় সনদের অনেক দফায় বিভিন্ন দলের ভিন্ন মতামত থাকলেও, আজকের প্রস্তাবনায় সেই নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ওই স্বাক্ষরিত জাতীয় সনদের খসড়ায় বেশ কিছু সুপারিশ ও মন্তব্য রয়েছে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, মেয়াদে বিভিন্ন মতামত থাকলেও, তা যদি দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হয়, তাহলেই তার বাস্তবায়ন সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে প্রকাশিত সুপারিশে সেই নোট অব ডিসেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। সরকার সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের ধারণা এখানে নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা আগে কখনো আলোচনা বা ঐকমত্যে আসেনি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ৯০ বা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হবে — এমন দাবি অদ্ভুত ও হাস্যকর। সালাহউদ্দিন আহমদ বিশ্বাস প্রকাশ করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে, প্রতীক দ্বৈত নির্বাচনে থাকা উচিত নয়—এমনই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি, আরপিওর আগের আইনের অনুরূপ ব্যবস্থা চালু রাখতে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নয়, সরকার প্রস্তুত। বেসামরিক ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত জোট নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি-ননসিপি জোট কি করবেঃ এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সকল দল নিজেদের স্বার্থে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিয়ে একযোগে কাজ করবে। অধীর আগ্রহে অনুরোধ করেছেন, দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে।