১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
বাজারে ক্ষতিকর রঙ মেশানো ‘মুগ’ ডাল! নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা নির্বাচনী উৎসবের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন, ভোটে জনগণের আস্থা জোরদার মির্জা ফখরুল: সরকারের এখতিয়ার নয় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্রুত গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন ডিসেম্বরে দেশের দেড় কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে জাতীয় নির্বাচনের দিন বা আগে গণভোটের সুপারিশ সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন ‘জাতীয় অনৈক্যের’ প্রচেষ্টা নিয়েছে ভোটার হতে গেলে ঘুষ দরকার: দুর্নীতির খবর শিরোনাম ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ ২৫০ কিমি ঘণ্টায় তাণ্ডব, ক্যারিবীয় অঞ্চলে নিহত ৭ অ্যাটর্নি অফিসে ‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের’ নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রধান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্রুত গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন

আসিফ নজরুল জানিয়েছেন যে, গণভোটের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই নেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কোন রাজনৈতিক দলের দ্বারা নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তে হবে। এরপর তিনি আরও জানান, সম্প্রতি অনুযায়ী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুন মাসে মার্চবাচ্যন অনুসারে গণভোটের জন্য সুপারিশ দেয়া হয়েছে, যা নির্বাচনের আগে বা দিনই হতে পারে। জামায়াতে ইসলামী দাবি করছে যে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিয়ে জুলাই সনদকে আইনি শক্তি দিতে হবে, যেন তা বৈধভাবে কার্যকর হয়। অন্যদিকে, বিএনপি বলছে, নির্বাচনের দিনই গণভোট হওয়া উচিত এবং এর বাইরে কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, জুলাই সনদে তাদের স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও এখন অনেক বিষয় যোগ করা হয়েছে, যা তাদেরមতো অস্বস্তিতে ফেলেছে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল দলগুলোর এই অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘আপনাদের যদি এই ধরনের ভূমিকা অব্যাহত থাকে, তবে সরকারের হস্তক্ষেপে সন্দেহ থেকে যাবে। এত দিন আলোচনা চলার পরেও যদি ঐক্য না বোঝা যায়, তা সত্যিই উদ্বেগজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘২৭০ দিন ধরে আলোচনা চললেও রাজনৈতিক দলের বিরোধ এখনো গভীর, যা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।’ তিনি সতর্ক করে বলছেন, এই বিরোধের মধ্যেই যদি দলগুলো স্বার্থের জন্য একক পদক্ষেপ নিতে যায়, তবে তা সরকারের জন্য আরও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। জুলাই সনদ নিয়ে মতৈক্যের অভাবে ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে কি না, জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করব। সব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে, সব কিছু সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন।’ অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রকাশ করেন, নির্বাচিত সংসদের দায়িত্ব নেয়ার জন্য না থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করে যাবেন। সরকার চাইলে যতটুকু সম্ভব সব কাজ করবেন, তবে এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য জরুরি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্রুত গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন

প্রকাশিতঃ ১১:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

আসিফ নজরুল জানিয়েছেন যে, গণভোটের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই নেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত কোন রাজনৈতিক দলের দ্বারা নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তে হবে। এরপর তিনি আরও জানান, সম্প্রতি অনুযায়ী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুন মাসে মার্চবাচ্যন অনুসারে গণভোটের জন্য সুপারিশ দেয়া হয়েছে, যা নির্বাচনের আগে বা দিনই হতে পারে। জামায়াতে ইসলামী দাবি করছে যে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিয়ে জুলাই সনদকে আইনি শক্তি দিতে হবে, যেন তা বৈধভাবে কার্যকর হয়। অন্যদিকে, বিএনপি বলছে, নির্বাচনের দিনই গণভোট হওয়া উচিত এবং এর বাইরে কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, জুলাই সনদে তাদের স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও এখন অনেক বিষয় যোগ করা হয়েছে, যা তাদেরមতো অস্বস্তিতে ফেলেছে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল দলগুলোর এই অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘আপনাদের যদি এই ধরনের ভূমিকা অব্যাহত থাকে, তবে সরকারের হস্তক্ষেপে সন্দেহ থেকে যাবে। এত দিন আলোচনা চলার পরেও যদি ঐক্য না বোঝা যায়, তা সত্যিই উদ্বেগজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘২৭০ দিন ধরে আলোচনা চললেও রাজনৈতিক দলের বিরোধ এখনো গভীর, যা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।’ তিনি সতর্ক করে বলছেন, এই বিরোধের মধ্যেই যদি দলগুলো স্বার্থের জন্য একক পদক্ষেপ নিতে যায়, তবে তা সরকারের জন্য আরও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। জুলাই সনদ নিয়ে মতৈক্যের অভাবে ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে কি না, জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করব। সব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে, সব কিছু সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন।’ অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রকাশ করেন, নির্বাচিত সংসদের দায়িত্ব নেয়ার জন্য না থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করে যাবেন। সরকার চাইলে যতটুকু সম্ভব সব কাজ করবেন, তবে এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য জরুরি।