০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অপো আনলো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি প্রতিযোগিতা বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিষপানে মৃত্যু শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল বোয়ালখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ ৩ জন আটক প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য মানববন্ধন এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে

শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল

এক যুগ আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার সময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই সুখরঞ্জন বালি বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন। ২১ আগস্ট সকালে এই অভিযোগ তুলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সাবেক ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসिम, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ এর সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, রানা দাস গুপ্ত ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।

সুখরঞ্জন বালি উল্লেখ করেন, তিনি ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন থেকে নিখোঁজ হন। অভিযোগে বলা হয়, তার ভাই বিশালালীর হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা করে যায়। এর পরে ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনালে তদন্তের সময় তাকে চাপ প্রয়োগ করে হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করতে বলানো হয়, যার মধ্যে সাঈদীর নামও ছিল। তিনি তার স্বেচ্ছায় বলতেন, সাঈদী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাকে শারীরিক নির্যাতন করে পাঠান চাপ প্রয়োগের জন্য।

অভিযোগে আরো বলা হয়, তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় তাকে বিভিন্ন ঘটনায় ভীতি দেখানো হয়, মারধর ও নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘ লুকানোর পর, তার সাথে যোগাযোগ করেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। তিনি তাকে ট্রাইব্যুনালে হত্যার প্রকৃত ঘটনা বলার জন্য আবেদন করেন। এতে রাজি হয়ে সুখরঞ্জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। কিন্তু আদালত চত্বরের বাইরে পুলিশ ও সমর্থকদের হামলায় এবং তাকে ভয় দেখানোর জন্য নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হন।

পরবর্তীতে তাকে ভারতের সীমান্তে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে থাকেন। ফিরতে এসে, তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা, অপহরণ ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে দাবি করেন।

সুখরঞ্জন জানিয়ে যান, এই সমস্ত অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তিনি ন্যায়বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি এর বিরুদ্ধে সকল পরিকল্পিত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিচার চেয়ে আছেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

এক যুগ আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার সময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই সুখরঞ্জন বালি বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন। ২১ আগস্ট সকালে এই অভিযোগ তুলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সাবেক ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসिम, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ এর সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, রানা দাস গুপ্ত ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।

সুখরঞ্জন বালি উল্লেখ করেন, তিনি ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন থেকে নিখোঁজ হন। অভিযোগে বলা হয়, তার ভাই বিশালালীর হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা করে যায়। এর পরে ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনালে তদন্তের সময় তাকে চাপ প্রয়োগ করে হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করতে বলানো হয়, যার মধ্যে সাঈদীর নামও ছিল। তিনি তার স্বেচ্ছায় বলতেন, সাঈদী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাকে শারীরিক নির্যাতন করে পাঠান চাপ প্রয়োগের জন্য।

অভিযোগে আরো বলা হয়, তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় তাকে বিভিন্ন ঘটনায় ভীতি দেখানো হয়, মারধর ও নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘ লুকানোর পর, তার সাথে যোগাযোগ করেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। তিনি তাকে ট্রাইব্যুনালে হত্যার প্রকৃত ঘটনা বলার জন্য আবেদন করেন। এতে রাজি হয়ে সুখরঞ্জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। কিন্তু আদালত চত্বরের বাইরে পুলিশ ও সমর্থকদের হামলায় এবং তাকে ভয় দেখানোর জন্য নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হন।

পরবর্তীতে তাকে ভারতের সীমান্তে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে থাকেন। ফিরতে এসে, তার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা, অপহরণ ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে দাবি করেন।

সুখরঞ্জন জানিয়ে যান, এই সমস্ত অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তিনি ন্যায়বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি এর বিরুদ্ধে সকল পরিকল্পিত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিচার চেয়ে আছেন।