সাইবার স্পেসে অনলাইন জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার জন্য এখন থেকে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা দুই বছরের কারাদণ্ড, এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে সম্প্রতি জারি হয়েছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫। এ তথ্য সোমবার এক সরকারি বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা অন্য কোনো সংস্থা যদি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল, অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি, পরিচালনা, অংশগ্রহণ বা প্রচারে যুক্ত হন, অথবা জুয়া খেলার সহায়তা বা উৎসাহ দেন, তাহলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, টিকটকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে জুয়া সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন কিংবা প্রচার করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে, অনলাইন জুয়া বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, জুয়া খেলায় সহায়তা, উৎসাহদাতা ও এই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অপরাধ দমন এবং সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনলাইন জুয়ার সকল গেটওয়ে, অ্যাপ, লিংক, ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞাপন দ্রুত বন্ধ, ব্লক বা অপসারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে।