১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ অর্জন: এক যুগান্তকারী মাইলফলক সকল ধর্মের মূল বার্তা মানবতা, শান্তি ও দেশপ্রেম: ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতার অভাব বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে গুলশানে ফ্ল্যাটের মালিক টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিস্তারিত জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ফের পিছিয়ে যেতে পারে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা জুলাই অভ্যুত্থান কেবল আন্দোলন নয়, ন্যায়ের সংগ্রামের প্রতীক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পূজার ছুটিতে পূর্বাঞ্চলে চার জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি নাহিদ ইসলামের

আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি নাহিদ ইসলামের

নির্বাচিত নাগরিক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম স্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত সময়ে বিচারসূত্রে আনা দরকার। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সরকারের উচ্চপদস্থ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ও জেরার পর এই পর্যবেক্ষণে এসেছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচার করার এখতিয়ার শুধু ট্রাইব্যুনালের কাছেই আছে, আমরা একা নই, আমরা তাদের কাছে আবেদন জানাবো। বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। শেখ হাসিনা, দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। জনগণ তাদের প্রতিরোধ করে ক্ষমতার অপসারণ ঘটিয়েছে। ফলে, এই অপরাধটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দল হিসেবে দ্রুত বিচারের অবকাশ রয়েছে।’

আজ (রোববার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর ৪৭তম সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন শেষে তার জেরা সম্পন্ন হয়। এই ট্রাইব্যুনাল তিন সদস্যের প্রধান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বে পরিচালিত হন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এইচ. তামিম শুনানি পরিচালনা করেন। অন্যান্য প্রসিকিউটররাও এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পলাতক থাকাকালীন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমির হোসেন। অন্যদিকে, গ্রেফতার হয়ে সরকারী সাক্ষী হিসেবে অংশ নেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে জামিনে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।

গুরুত্বপূর্ণভাবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরই অংশ হিসেবে, মামলার তদন্তে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদনে অনুমোদন দেন আদালত। এরপর, মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

অপরাধের এই মামলার বাইরেও, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আর দুটি মামলা চলমান রয়েছে যেখানে গুম-খুনের মামলা ও শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনকালে আওয়ামী লীগ, এর ক্যাডার ও সরকারের অনুসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল বলে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। এসব অপরাধের বিচারের জন্য দুটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগ :

আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি নাহিদ ইসলামের

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচিত নাগরিক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম স্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত সময়ে বিচারসূত্রে আনা দরকার। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সরকারের উচ্চপদস্থ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ও জেরার পর এই পর্যবেক্ষণে এসেছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচার করার এখতিয়ার শুধু ট্রাইব্যুনালের কাছেই আছে, আমরা একা নই, আমরা তাদের কাছে আবেদন জানাবো। বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। শেখ হাসিনা, দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। জনগণ তাদের প্রতিরোধ করে ক্ষমতার অপসারণ ঘটিয়েছে। ফলে, এই অপরাধটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দল হিসেবে দ্রুত বিচারের অবকাশ রয়েছে।’

আজ (রোববার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর ৪৭তম সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন শেষে তার জেরা সম্পন্ন হয়। এই ট্রাইব্যুনাল তিন সদস্যের প্রধান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বে পরিচালিত হন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এইচ. তামিম শুনানি পরিচালনা করেন। অন্যান্য প্রসিকিউটররাও এই সময় উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পলাতক থাকাকালীন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমির হোসেন। অন্যদিকে, গ্রেফতার হয়ে সরকারী সাক্ষী হিসেবে অংশ নেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে জামিনে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।

গুরুত্বপূর্ণভাবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরই অংশ হিসেবে, মামলার তদন্তে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদনে অনুমোদন দেন আদালত। এরপর, মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

অপরাধের এই মামলার বাইরেও, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আর দুটি মামলা চলমান রয়েছে যেখানে গুম-খুনের মামলা ও শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনকালে আওয়ামী লীগ, এর ক্যাডার ও সরকারের অনুসারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল বলে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। এসব অপরাধের বিচারের জন্য দুটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রক্রিয়া চলছে।