আবারও সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে ভোজ্যতেলের লিটারপ্রতি দাম ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, এই প্রস্তাবটি বেশ বেশি, এবং এটি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
আজ রোববার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকেল ৩টার দিকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে, যা একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সরেজমিনে জানিয়েছে, সরকার মনে করে ওই প্রস্তাবটি অত্যধিক এবং সেই কারণে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সাধারণত এই ধরনের পর্যালোচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পরে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত হয়।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—সয়াবিন এবং পাম অয়েল লিটারে ১০ টাকা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, দাম বৃদ্ধির এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তুলনা করে দেখছি। সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা বাস্তবতা অনুযায়ী অনেক বেশি। আমরা এই প্রস্তাবের বিষয়টি পর্যালোচনা করছি এবং তার পরে বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম এখন প্রায় ১,২০০ ডলার। সম্প্রতি আর্থিক বাজারে এই তেলের দাম প্রায় ১৮-২০% পর্যন্ত বেড়েছে। পাম অয়েলের দামের বৃদ্ধিও দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই তারা এই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন।
এদিকে, গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে এখন দাম আরও বাড়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।