১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

আওয়ামী লীগের ইতিহাস: লুটপাট, সন্ত্রাস ও অর্থচুরির দল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো দেশের উন্নতি করেনি, বরং তার ইতিহাস হলো লুটপাট, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচারের দল। তিনি আরও বলেন, এই দলের ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের হত্যাকারী, ইতিহাসের অন্ধকার দিক। গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ১৪শত মানুষকে হত্যা করেছে, ২০ হাজারের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এই রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা। তিনি কৌশলে বলেন, আমাদের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ইতিহাস হলো আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস—জনগণের জন্য প্রতিরোধের ইতিহাস। বিএনপির জন্ম এই দেশের মানুষকে নতুনভাবে ধারণের জন্য, সুস্থ, সুসংগঠিত ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করার জন্য।

সালাহউদ্দিন আহমদ ধর্মের বিষয়ে বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলবে না। ইসলাম কোনো রাজনৈতিক বাক্সের ভিতরে নেই। যারা ইসলামের নামে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, একাত্তরের চেতনা ব্যবসা চালিয়ে দেওয়ার নামে কিছু নেত্রী দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। চেতনা ব্যবসার মতো ইসলাম ধর্মের নামে ব্যবসাও চলছে—এতে দেশের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা আর এই দেশে চলতে দেয়া হবে না। এখন জনগণ সচেতন, তারা কোনও চেতনা ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেবে না।

তিনি প্রশ্ন করেন, যারা জেন্নাতের টিকেট বিক্রি করে, তারা কি সত্যিই জান্নাতের টিকেট বিক্রি করতে পারে? যারা এমন ব্যবসা করছে, তারা আসলে ধর্ম ব্যবসায়ী।

সংস্কার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারা যে সংস্কার বিতরণ করে, তা আসলে জানে না, আসল সংস্কার প্রকৃতপক্ষে তারেক রহমানের ৩১ দফা। এই ৩১ দফাই দেশের প্রকৃত সংস্কার। আমরা ৩১ দফা বিতরণ করিনি, বরং যৌক্তিক কোনও সংযোজন হলে তা যোগ করা হবে। সংস্কার কোনো একদিনের কাজ নয়, এটি চলমান একটি প্রক্রিয়া। কেউ যদি বলে, বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচন নয়—তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ স্ব স্ব সময়ে নির্বাচন চায়। একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকতে হবে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনাদের দায়িত্ব নিজেকে সচেতন করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এই অপপ্রচারের মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকতে হবে ও সত্য তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার চাই। যারা গণহত্যা, গুম ও খুন করেছে, তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত চালানোর জন্য ট্রাইব্যুনাল বাড়াতে হবে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় একসাথে চলবে।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সংগঠক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকেরিয়া তাহের সুমন ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

আওয়ামী লীগের ইতিহাস: লুটপাট, সন্ত্রাস ও অর্থচুরির দল

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো দেশের উন্নতি করেনি, বরং তার ইতিহাস হলো লুটপাট, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচারের দল। তিনি আরও বলেন, এই দলের ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের হত্যাকারী, ইতিহাসের অন্ধকার দিক। গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ১৪শত মানুষকে হত্যা করেছে, ২০ হাজারের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এই রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা। তিনি কৌশলে বলেন, আমাদের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ইতিহাস হলো আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস—জনগণের জন্য প্রতিরোধের ইতিহাস। বিএনপির জন্ম এই দেশের মানুষকে নতুনভাবে ধারণের জন্য, সুস্থ, সুসংগঠিত ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করার জন্য।

সালাহউদ্দিন আহমদ ধর্মের বিষয়ে বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলবে না। ইসলাম কোনো রাজনৈতিক বাক্সের ভিতরে নেই। যারা ইসলামের নামে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, একাত্তরের চেতনা ব্যবসা চালিয়ে দেওয়ার নামে কিছু নেত্রী দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। চেতনা ব্যবসার মতো ইসলাম ধর্মের নামে ব্যবসাও চলছে—এতে দেশের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা আর এই দেশে চলতে দেয়া হবে না। এখন জনগণ সচেতন, তারা কোনও চেতনা ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেবে না।

তিনি প্রশ্ন করেন, যারা জেন্নাতের টিকেট বিক্রি করে, তারা কি সত্যিই জান্নাতের টিকেট বিক্রি করতে পারে? যারা এমন ব্যবসা করছে, তারা আসলে ধর্ম ব্যবসায়ী।

সংস্কার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারা যে সংস্কার বিতরণ করে, তা আসলে জানে না, আসল সংস্কার প্রকৃতপক্ষে তারেক রহমানের ৩১ দফা। এই ৩১ দফাই দেশের প্রকৃত সংস্কার। আমরা ৩১ দফা বিতরণ করিনি, বরং যৌক্তিক কোনও সংযোজন হলে তা যোগ করা হবে। সংস্কার কোনো একদিনের কাজ নয়, এটি চলমান একটি প্রক্রিয়া। কেউ যদি বলে, বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচন নয়—তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ স্ব স্ব সময়ে নির্বাচন চায়। একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকতে হবে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনাদের দায়িত্ব নিজেকে সচেতন করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এই অপপ্রচারের মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকতে হবে ও সত্য তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার চাই। যারা গণহত্যা, গুম ও খুন করেছে, তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত চালানোর জন্য ট্রাইব্যুনাল বাড়াতে হবে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় একসাথে চলবে।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সংগঠক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকেরিয়া তাহের সুমন ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।