ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরটিতে কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনাটি ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা মেহের রোববার সকালে জানায়, আরব ও ইসরাইলি গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করেছে। এক পর্যায়ে জায়নিস্ট সরকারের মিডিয়া জানায়, এই হামলার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে সতর্কতা সাইরেন শোনা যায়।
ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদসংস্থা চ্যানেল ১২ এর রিপোর্টে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয় এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আকাশসীমা এক طورে বন্ধ রাখা হয়।
অপরদিকে, টাইমস অব ইসরাইলের রিপোর্টে বলা হয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে, তারা ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ভূপাতিত করেছে।
সংবাদমাধ্যমের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিম তীরের কিছু এলাকা সতর্কতামূলক সাইরেনে স্তব্ধ হয়ে যায়। তবে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আইডিএফ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামাসের বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে, ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের দিকে মোট ৯১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একই সময়ে, অন্তত ৪১টি ড্রোনও পাঠানো হয়েছে। যদিও, ২০২4 সালের জানুয়ারিতে হামাস-বিরোধী যুদ্ধের মধ্যে, ইয়েমেনের পক্ষ থেকে ৪০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০টির বেশি ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের গাজায় ব্যাপক সেনা অভিযান ও আগ্রাসনের মধ্যেই, ইয়েমেন ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শুরু থেকেই ইয়েমেন বারবার ইসরাইলবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিচ্ছে।