০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

বিজিএমইএ ও ডিবিপির যৌথ উদ্যোগে পোশাকশিল্পের স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স (ডিবিপি)। তাদের এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য হলো-‘ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি)’ নামে এক যুগান্তকারী ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, যা দেশের পোশাক শিল্পের মানোন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই এআই চালিত ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও শাসননীতি) কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্কটি তৈরি করা হচ্ছে, যা পোশাক কারখানাগুলোর মানদণ্ড ও স্বচ্ছতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে শিল্পের জবাবদিহিতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। গত রোববার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিজিএমইঈ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। তিনি এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দেশের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবন অপরিহার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃতখান ও অন্যান্য পরিচালকগণ। ডিবিপির পক্ষ থেকে ছিলেন নাবিল চৌধুরী ও হায়দার আনওয়ার। এই ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট একটি সমন্বিত ডিজিটাল টুল হিসেবে কাজ করবে, যা কারখানার তথ্য, যেমন উৎপাদন পদ্ধতি, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ, পাশাপাশি সাপ্লাইচেইনের তথ্য একত্রিত করবে। এর ফলে বারবার অডিট বা নিরীক্ষার প্রয়োজন কমবে, এবং কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন ও পারফরমেন্স মনিটরিং আরও কার্যকর হবে। মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবন অপরিহার্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, এই অংশীদারিত্ব পোশাক শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অঙ্গন হিসেবে আরো সুদৃঢ় করবে। ডিবিপির প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, ডিজিটাল সমাধানগুলি বাংলাদেশি শিল্পকে আরও দক্ষতা ও স্বচ্ছতা অর্জনে সহায়তা করবে, ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের ক্রেতাদের জন্য আরো সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ Manufacturing Excellence-এর পোক্ত অবস্থান তৈরি করার পথে এক বড় ধাপ গ্রহণ করেছে, যা শিল্পের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

বিজিএমইএ ও ডিবিপির যৌথ উদ্যোগে পোশাকশিল্পের স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স (ডিবিপি)। তাদের এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য হলো-‘ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি)’ নামে এক যুগান্তকারী ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, যা দেশের পোশাক শিল্পের মানোন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই এআই চালিত ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও শাসননীতি) কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্কটি তৈরি করা হচ্ছে, যা পোশাক কারখানাগুলোর মানদণ্ড ও স্বচ্ছতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে শিল্পের জবাবদিহিতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। গত রোববার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিজিএমইঈ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। তিনি এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দেশের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবন অপরিহার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃতখান ও অন্যান্য পরিচালকগণ। ডিবিপির পক্ষ থেকে ছিলেন নাবিল চৌধুরী ও হায়দার আনওয়ার। এই ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট একটি সমন্বিত ডিজিটাল টুল হিসেবে কাজ করবে, যা কারখানার তথ্য, যেমন উৎপাদন পদ্ধতি, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ, পাশাপাশি সাপ্লাইচেইনের তথ্য একত্রিত করবে। এর ফলে বারবার অডিট বা নিরীক্ষার প্রয়োজন কমবে, এবং কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন ও পারফরমেন্স মনিটরিং আরও কার্যকর হবে। মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবন অপরিহার্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, এই অংশীদারিত্ব পোশাক শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অঙ্গন হিসেবে আরো সুদৃঢ় করবে। ডিবিপির প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, ডিজিটাল সমাধানগুলি বাংলাদেশি শিল্পকে আরও দক্ষতা ও স্বচ্ছতা অর্জনে সহায়তা করবে, ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের ক্রেতাদের জন্য আরো সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ Manufacturing Excellence-এর পোক্ত অবস্থান তৈরি করার পথে এক বড় ধাপ গ্রহণ করেছে, যা শিল্পের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।