০১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ভারতে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ পোস্টার ও টি-শার্টের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন দমন-পীড়ন

সম্প্রতি ভারতজুড়ে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এই স্লোগানটি মূলত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি শান্তিপূর্ণ উপায় হিসেবে পরিচিত হলেও, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এটিকে জনশৃঙ্খলা ও হিংসার আশঙ্কা হিসেবে দেখছে। এর ফলে দেশজুড়ে ৪ হাজারের বেশি মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২০০ এর বেশি গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটেছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরে মুসলিমরা ঈদে-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ লেখা একটি বিলবোর্ড স্থাপন করে। এটি ‘আই লাভ নিউইয়র্ক’ সাইনবোর্ডের অনুকরণে তৈরি ছিল। তবে স্থানীয় কিছু হিন্দু এই বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে, পুলিশ ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরির অভিযোগে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এর ফলে কানপুরে মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে, যা দ্রুত উত্তর প্রদেশের বীরালি, গুজরাটের গোধরা, মহারাষ্ট্রের মুম্বাই, তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদকারীরা ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ লেখা পোস্টার, টি-শার্ট পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেন এবং রাস্তায় আন্দোলন করেন। এই আন্দোলনের জেরে পুলিশ ৪৫৩৩টির বেশি মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২৮৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও খবর অনুযায়ী, কানপুরে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মাওলানা তোফিক রাজার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গুজরাটের গোধরা শহরে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ পোস্টার শেয়ার করার জন্য যুবক জাকির ঝাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাকে শারীরিক নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে।

ভারতের সংবিধানধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করলেও, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আকার প্যাটেল বললেন, ‘এই ধরনের স্লোগান শান্তিপূর্ণ এবং কোনো উসকানি বা হুমকি ছাড়াই, তাই এটিকে ফৌজদারি দায়েরের আওতায় আনা উচিত নয়।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ পোস্টার ও টি-শার্টের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন দমন-পীড়ন

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্প্রতি ভারতজুড়ে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এই স্লোগানটি মূলত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি শান্তিপূর্ণ উপায় হিসেবে পরিচিত হলেও, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এটিকে জনশৃঙ্খলা ও হিংসার আশঙ্কা হিসেবে দেখছে। এর ফলে দেশজুড়ে ৪ হাজারের বেশি মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২০০ এর বেশি গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটেছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরে মুসলিমরা ঈদে-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ লেখা একটি বিলবোর্ড স্থাপন করে। এটি ‘আই লাভ নিউইয়র্ক’ সাইনবোর্ডের অনুকরণে তৈরি ছিল। তবে স্থানীয় কিছু হিন্দু এই বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে, পুলিশ ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরির অভিযোগে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এর ফলে কানপুরে মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে, যা দ্রুত উত্তর প্রদেশের বীরালি, গুজরাটের গোধরা, মহারাষ্ট্রের মুম্বাই, তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদকারীরা ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ লেখা পোস্টার, টি-শার্ট পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেন এবং রাস্তায় আন্দোলন করেন। এই আন্দোলনের জেরে পুলিশ ৪৫৩৩টির বেশি মুসলিমের বিরুদ্ধে মামলা এবং ২৮৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও খবর অনুযায়ী, কানপুরে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মাওলানা তোফিক রাজার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গুজরাটের গোধরা শহরে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ পোস্টার শেয়ার করার জন্য যুবক জাকির ঝাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাকে শারীরিক নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে।

ভারতের সংবিধানধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করলেও, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আকার প্যাটেল বললেন, ‘এই ধরনের স্লোগান শান্তিপূর্ণ এবং কোনো উসকানি বা হুমকি ছাড়াই, তাই এটিকে ফৌজদারি দায়েরের আওতায় আনা উচিত নয়।’