০৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অপো আনলো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি প্রতিযোগিতা বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিষপানে মৃত্যু শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল বোয়ালখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ ৩ জন আটক প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য মানববন্ধন এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে

সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: নৌপ্রতিমন্ত্রী

যেকোনো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে দমন করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেখানেই সন্ত্রাসবাদ সেখানেই সরকার সোচ্চার এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছি। সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দিনাজপুরের কাহারোলে কান্তজীও মন্দিরে ঐতিহাসিক রাস উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসাবাদের কোন ধর্ম নেই। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্ম দিয়ে তাদের বিচার করা যাবে না। সন্ত্রাসী সব সময় সন্ত্রাসী। তাদের ধর্ম হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। কিন্তু আমরা যখন পদক্ষেপ নেই, যারা সন্ত্রাসাবাদকে লালন করে, তখন তারা সন্ত্রাসের পক্ষে বক্তব্য দেয়। কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করল, তখন মীর্জা ফখরুলরা কী বলে! বলে এটা সাজানো নাটক। কিন্তু আমরা সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসের পক্ষে যায়, তখন সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা থাকেনা। সেটা বিএনপি-জামায়াত এর সময়ে ছিল। রাজশাহীতে আমরা দেখেছি কীভাবে বাংলা ভাইয়েরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সেদিন পুলিশ অসহায় হয়ে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নাই। আমরা দেখেছি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের চারণভূমি বানাতে এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান করা হয়েছিল। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা ছিল না। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আজকে শেখ হাসিনা আছে বলেই আমরা প্রতিবাদ জানাতে পারি। দাবি করতে পারি। শেখ হাসিনা না থাকলে, আওয়ামী লীগ না থাকলে সন্ত্রাসীরা এ বাংলাদেশ পরিচালনা করে দেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করত।

খালিদ বলেন, পঁচাত্তরের পর কোন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ছিলনা। কারণ ধর্ম ছিল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার হাতিয়ার। জিয়া এরশাদ খালেদা জিয়ারা ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে দেশ দখল করে পরিচালনা করেছে। কিন্তু মানুষের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। এরকম একটি অবস্থা ছিল মানুষ মসজিদ-মন্দিরে যেতো ভয়ে ভয়ে। কারণ বাংলাদেশে কোন আইনের শাসন ছিলনা। জাতির পিতার হত্যার বিচার হবেনা বলে যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল, তারা আপনার আমার নিরাপত্তা দিতে পারেনা।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ৯৬ সালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্বে এলেন, তখন মানুষের আনন্দাশ্রু দেখেছি। তারা তাদের নিরাপত্তা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবেনা- এমন কালাকানুন আমরা বাতিল করেছিলাম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বারিউল করিম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোরঞ্জনশীল গোপাল এমপি। এর আগে আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে এবং নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে দিনাজপুর ম্যারাথন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। পরে বিরলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করেন এবং মরহুম মহসীন আলী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: নৌপ্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ০২:০০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

যেকোনো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে দমন করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যেখানেই সন্ত্রাসবাদ সেখানেই সরকার সোচ্চার এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছি। সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দিনাজপুরের কাহারোলে কান্তজীও মন্দিরে ঐতিহাসিক রাস উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসাবাদের কোন ধর্ম নেই। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্ম দিয়ে তাদের বিচার করা যাবে না। সন্ত্রাসী সব সময় সন্ত্রাসী। তাদের ধর্ম হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। কিন্তু আমরা যখন পদক্ষেপ নেই, যারা সন্ত্রাসাবাদকে লালন করে, তখন তারা সন্ত্রাসের পক্ষে বক্তব্য দেয়। কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করল, তখন মীর্জা ফখরুলরা কী বলে! বলে এটা সাজানো নাটক। কিন্তু আমরা সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসের পক্ষে যায়, তখন সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা থাকেনা। সেটা বিএনপি-জামায়াত এর সময়ে ছিল। রাজশাহীতে আমরা দেখেছি কীভাবে বাংলা ভাইয়েরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সেদিন পুলিশ অসহায় হয়ে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নাই। আমরা দেখেছি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের চারণভূমি বানাতে এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান করা হয়েছিল। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা ছিল না। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আজকে শেখ হাসিনা আছে বলেই আমরা প্রতিবাদ জানাতে পারি। দাবি করতে পারি। শেখ হাসিনা না থাকলে, আওয়ামী লীগ না থাকলে সন্ত্রাসীরা এ বাংলাদেশ পরিচালনা করে দেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করত।

খালিদ বলেন, পঁচাত্তরের পর কোন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ছিলনা। কারণ ধর্ম ছিল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার হাতিয়ার। জিয়া এরশাদ খালেদা জিয়ারা ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে দেশ দখল করে পরিচালনা করেছে। কিন্তু মানুষের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। এরকম একটি অবস্থা ছিল মানুষ মসজিদ-মন্দিরে যেতো ভয়ে ভয়ে। কারণ বাংলাদেশে কোন আইনের শাসন ছিলনা। জাতির পিতার হত্যার বিচার হবেনা বলে যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল, তারা আপনার আমার নিরাপত্তা দিতে পারেনা।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ৯৬ সালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্বে এলেন, তখন মানুষের আনন্দাশ্রু দেখেছি। তারা তাদের নিরাপত্তা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবেনা- এমন কালাকানুন আমরা বাতিল করেছিলাম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বারিউল করিম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোরঞ্জনশীল গোপাল এমপি। এর আগে আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে এবং নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে দিনাজপুর ম্যারাথন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। পরে বিরলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করেন এবং মরহুম মহসীন আলী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।