১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব মমতার

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে মমতা বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্য ভারত সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তাব-জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক। আরও একবার দল ও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করি।

একইসঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তার কোনও অসুবিধা থাকে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিন। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকার চুপ করে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার দল ও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই তারা কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে চলবেন।

বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তার সরকার সহ্য করবে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, আমাদের পরিবার, সম্পত্তি ও প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে রয়েছেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ নিয়ে যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্র চুপ করে রয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল বলছে সব আটকে দেব। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনও এখতিয়ার নেই।

ওয়াকফ বিল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার পর যে লিখিত প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে যাবে, তার সঙ্গে শান্তিসেনা সংক্রান্ত প্রস্তাবও থাকবে বলে জানান মমতা।

এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘নির্যাতন’ ও ‘সন্ন্যাসীদের গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। বিজেপির সমর্থনে সীমান্তে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। দিল্লিতেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে  চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব মমতার

প্রকাশিতঃ ০৭:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে মমতা বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর জন্য ভারত সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তাব-জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক। আরও একবার দল ও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করি।

একইসঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তার কোনও অসুবিধা থাকে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিন। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকার চুপ করে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার দল ও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই তারা কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে চলবেন।

বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তার সরকার সহ্য করবে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, আমাদের পরিবার, সম্পত্তি ও প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে রয়েছেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ নিয়ে যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্র চুপ করে রয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল বলছে সব আটকে দেব। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনও এখতিয়ার নেই।

ওয়াকফ বিল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার পর যে লিখিত প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে যাবে, তার সঙ্গে শান্তিসেনা সংক্রান্ত প্রস্তাবও থাকবে বলে জানান মমতা।

এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘নির্যাতন’ ও ‘সন্ন্যাসীদের গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। বিজেপির সমর্থনে সীমান্তে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। দিল্লিতেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে  চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ।