০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দুর্গাপূজায় ভারতে রপ্তানি হবে ১২০০ টন ইলিশ দুদকের হাসপাতালের বিল গ্রহণে আসামি, বরখাস্থ হয়েছেন পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য চীনের সহযোগিতা বাড়াতে চীনের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে একান্তভাবে বৈঠক হয়।

বৈঠকে তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ১৬.৬৪ বিলিয়ন এবং ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং এলডিসি দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তাসকীন আহমেদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জন্য চীন সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ। তারা অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বহুমাত্রিক সম্পর্ক স্থাপিত রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যসেবা, এপিআই, সেমিকন্ডাক্টর ও জাহাজ নির্মাণ—এমন গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এছাড়াও, বৈশ্বিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চীনের আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে চীনের ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যার বিনিয়োগ মূল্য প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিশেষ করে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন, ইলেকট্রনিক ভেহিকেল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী, তবে উচ্চ শুল্ক ও অনুকূল নীতিমালার অভাবে এই খাতের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সরকার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা যুগোপযোগী করতে উদ্যোগী হবে।

রাষ্ট্রদূত এও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। এজন্য তিনি দেশের অন্যান্য রপ্তানি সম্ভাবনাময় খাতে মনোযোগ দেয়ার উপর জোর দেন।

চীন বাংলা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা উন্নয়নে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণেরও আহ্বান জানান।

ট্যাগ :

তোশিমিৎসু মোতেগি জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে ঘোষে উঠলেন

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য চীনের সহযোগিতা বাড়াতে চীনের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে একান্তভাবে বৈঠক হয়।

বৈঠকে তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ১৬.৬৪ বিলিয়ন এবং ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং এলডিসি দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তাসকীন আহমেদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জন্য চীন সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ। তারা অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বহুমাত্রিক সম্পর্ক স্থাপিত রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যসেবা, এপিআই, সেমিকন্ডাক্টর ও জাহাজ নির্মাণ—এমন গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এছাড়াও, বৈশ্বিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চীনের আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে চীনের ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যার বিনিয়োগ মূল্য প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিশেষ করে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন, ইলেকট্রনিক ভেহিকেল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী, তবে উচ্চ শুল্ক ও অনুকূল নীতিমালার অভাবে এই খাতের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সরকার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা যুগোপযোগী করতে উদ্যোগী হবে।

রাষ্ট্রদূত এও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। এজন্য তিনি দেশের অন্যান্য রপ্তানি সম্ভাবনাময় খাতে মনোযোগ দেয়ার উপর জোর দেন।

চীন বাংলা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা উন্নয়নে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণেরও আহ্বান জানান।