১০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

গাজা সিটিতে দখল আক্রমণ: তীব্র বিমান ও স্থল হামলা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী একের পর এক ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ এই অভিযানটি দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, যেখানে গাজা শহর দখলের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা স্থানীয় আবাসিক এলাকাগুলির দিকে আগান্বিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা আতঙ্কের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে বর্তমানে সক্রিয়হীনতার মাঝে প্রাণ বাঁচানোর জন্য মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে শহরের বাড়িগুলো লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে, ফলে শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছেন। গত মঙ্গলবারই গাজা শহরে অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে Israeli বাহিনী। এর মধ্যে একটি গাড়িতে বোমা হামলার মাধ্যমে বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই হামলার ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে। এছাড়াও, ইসরায়েলি রোবটের মাধ্যমে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব গাজার বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসের কাজও চালানো হচ্ছে। অধিকারের গোষ্ঠী ইউরো-মেড মনিটর জানিয়েছে, এই মাসে ২০টির বেশি বাড়ি ধ্বংসের জন্য ১৫টি রোবট মোতায়েন করা হয়েছে। দুই বছরের এই সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষ গাজার শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে গাজার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনও শহরের বৃহৎ অংশে মানুষ অবস্থান করছে, যেখানে সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এই যুদ্ধ গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে দুই বছরের অধিক সময়ে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের জন্য এক যুগান্তকারী ও অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো হামাসকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন, যেন জিম্মিদের মুক্তি দেয়। পাশাপাশি পশ্চিম তীরের নাবলুসে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চলছে, যেখানে কাফর কিল্লা শহরে আইডিএফের বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, এই বিস্তৃত স্থল অভিযান জন্য তারা দুইটি ডিভিশন মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে দশ হাজারের বেশি সৈন্য রয়েছে, এবং তারা শহরটির বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এখনো প্রায় ৬ লাখ মানুষ শহরে রয়ে গেছেন। এদিকে, গাজা থেকে সশস্ত্র অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনারা একটি অস্থায়ী সরব রুট চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন করিডরটি সালাহ আল-দ্বিন স্ট্রিটের মাধ্যমে খোলা থাকছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। এই এলাকার মাধ্যমে মানুষগুলোর নিরাপদ সরানোর জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তা সতর্কতা ও নির্দেশনা দিচ্ছেন।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

গাজা সিটিতে দখল আক্রমণ: তীব্র বিমান ও স্থল হামলা

প্রকাশিতঃ ১০:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী একের পর এক ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ এই অভিযানটি দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, যেখানে গাজা শহর দখলের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা স্থানীয় আবাসিক এলাকাগুলির দিকে আগান্বিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা আতঙ্কের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে বর্তমানে সক্রিয়হীনতার মাঝে প্রাণ বাঁচানোর জন্য মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে শহরের বাড়িগুলো লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে, ফলে শহরের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছেন। গত মঙ্গলবারই গাজা শহরে অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে Israeli বাহিনী। এর মধ্যে একটি গাড়িতে বোমা হামলার মাধ্যমে বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই হামলার ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে। এছাড়াও, ইসরায়েলি রোবটের মাধ্যমে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব গাজার বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসের কাজও চালানো হচ্ছে। অধিকারের গোষ্ঠী ইউরো-মেড মনিটর জানিয়েছে, এই মাসে ২০টির বেশি বাড়ি ধ্বংসের জন্য ১৫টি রোবট মোতায়েন করা হয়েছে। দুই বছরের এই সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষ গাজার শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে গাজার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনও শহরের বৃহৎ অংশে মানুষ অবস্থান করছে, যেখানে সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এই যুদ্ধ গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে দুই বছরের অধিক সময়ে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ মারা গেছেন। এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের জন্য এক যুগান্তকারী ও অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো হামাসকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন, যেন জিম্মিদের মুক্তি দেয়। পাশাপাশি পশ্চিম তীরের নাবলুসে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চলছে, যেখানে কাফর কিল্লা শহরে আইডিএফের বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, এই বিস্তৃত স্থল অভিযান জন্য তারা দুইটি ডিভিশন মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে দশ হাজারের বেশি সৈন্য রয়েছে, এবং তারা শহরটির বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে, এখনো প্রায় ৬ লাখ মানুষ শহরে রয়ে গেছেন। এদিকে, গাজা থেকে সশস্ত্র অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনারা একটি অস্থায়ী সরব রুট চালু করেছে। নতুন এই পরিবহন করিডরটি সালাহ আল-দ্বিন স্ট্রিটের মাধ্যমে খোলা থাকছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। এই এলাকার মাধ্যমে মানুষগুলোর নিরাপদ সরানোর জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তা সতর্কতা ও নির্দেশনা দিচ্ছেন।