০৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজস্বই সংস্কার জরুরি: মঈন খান

চলমান রাজনৈতিক সংস্কারপ্রক্রিয়াটির জন্য নিজের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি জানিয়েছেন, এক বছর ধরে চলমান এই সংস্কার প্রক্রিয়া এখনো কোনও কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। এর মূল কারণ, কমিশন পদ্ধতিতে পরিবর্তন না আসায় স্বচ্ছ ও কার্যকর অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়েছে। তিনি এই কথাগুলো বলেছেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক ব্যক্তিগত আলোচনা অনুষ্ঠানে। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “আমাদের ওপর জোর করে একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে, যেখানে সবাইকে একেবারে একইরকম চিন্তাধারা মানতে বলাবলি করা হচ্ছে। ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা সেখানে নেই।” তবে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “আজকের দিনেও কি সবাইকে একত্রিত করে গণতন্ত্রের চেতনায় উদযাপন করতে পারব?” তিনি বললেন, “আমি এই ধারণায় বিশ্বাস করি না।” তিনি বলেছেন, “প্রতিটি মানুষের মতান্তরে বৈচিত্র্য থাকা স্বাভাবিক। যদি এই ভেরিয়েশনগুলো গ্রহণ না করা যায়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি না যে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাজ করবে। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বিষয় নিয়ে আমাদের সহমত হয়েছি, তবে আর বেশি কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক। যদি সবাই একমত হওয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়, তা হলে আমি সন্দেহের তোড়ে পড়ি—এটা কি আসলেই কিছু আড়াল বা গোপন কারচুপি আছে কিনা।” ইংরেজি এক প্রবাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্যে ঐক্য)।” তিনি আরো যোগ করেন, “সব কাগজে স্বাক্ষর, সবকিছু কার্যকর করা, সংবিধান পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান প্রণয়ন—all এসব যদি স্বাভাবিক ও প্রক্রিয়াগতভাবে হয়, তাহলে আমি আপত্তি করব না। তবে জোরপূর্বক কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের মনোবৃত্তি কেমন, সেটা সবাই জানেন। তাঁরা একদিকে অধৈর্য আর অন্যদিকে বেশ ইমোশনাল। এই দুটো জিনিস যদি এক সঙ্গে চলে আসে, তাহলে খুবই মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আর সেটা ইতিমধ্যে ঘটেও গেছে।”

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

সংস্কারপ্রক্রিয়ার নিজস্বই সংস্কার জরুরি: মঈন খান

প্রকাশিতঃ ১০:৫১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলমান রাজনৈতিক সংস্কারপ্রক্রিয়াটির জন্য নিজের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি জানিয়েছেন, এক বছর ধরে চলমান এই সংস্কার প্রক্রিয়া এখনো কোনও কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। এর মূল কারণ, কমিশন পদ্ধতিতে পরিবর্তন না আসায় স্বচ্ছ ও কার্যকর অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়েছে। তিনি এই কথাগুলো বলেছেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ’ শীর্ষক ব্যক্তিগত আলোচনা অনুষ্ঠানে। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “আমাদের ওপর জোর করে একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে, যেখানে সবাইকে একেবারে একইরকম চিন্তাধারা মানতে বলাবলি করা হচ্ছে। ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা সেখানে নেই।” তবে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “আজকের দিনেও কি সবাইকে একত্রিত করে গণতন্ত্রের চেতনায় উদযাপন করতে পারব?” তিনি বললেন, “আমি এই ধারণায় বিশ্বাস করি না।” তিনি বলেছেন, “প্রতিটি মানুষের মতান্তরে বৈচিত্র্য থাকা স্বাভাবিক। যদি এই ভেরিয়েশনগুলো গ্রহণ না করা যায়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি না যে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাজ করবে। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বিষয় নিয়ে আমাদের সহমত হয়েছি, তবে আর বেশি কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক। যদি সবাই একমত হওয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়, তা হলে আমি সন্দেহের তোড়ে পড়ি—এটা কি আসলেই কিছু আড়াল বা গোপন কারচুপি আছে কিনা।” ইংরেজি এক প্রবাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্যে ঐক্য)।” তিনি আরো যোগ করেন, “সব কাগজে স্বাক্ষর, সবকিছু কার্যকর করা, সংবিধান পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান প্রণয়ন—all এসব যদি স্বাভাবিক ও প্রক্রিয়াগতভাবে হয়, তাহলে আমি আপত্তি করব না। তবে জোরপূর্বক কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের মনোবৃত্তি কেমন, সেটা সবাই জানেন। তাঁরা একদিকে অধৈর্য আর অন্যদিকে বেশ ইমোশনাল। এই দুটো জিনিস যদি এক সঙ্গে চলে আসে, তাহলে খুবই মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আর সেটা ইতিমধ্যে ঘটেও গেছে।”