কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে ঘটে গেল এক অদ্ভুত ও অসাধারণ ঘটনা। এখানে একটি ১৭ দিন বয়সী বাছুরের গাভীর মতো দুধ দিচ্ছে বলে প্রত্যক্ষ eyewitnessরা জানিয়েছেন। এই ঘটনা প্রতিদিন খামারিতে এবং আশেপাশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এখন এই খামারেতে দর্শনার্থী হিসেবে ভিড় করে দুধদোহনের মুহূর্ত দেখছেন এবং ছবি তুলছেন। এটি এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা বলেই মনে করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা, তবে খামারিরাও এ্যাকটিকে আল্লাহর এক নিদর্শন বলে মনে করেন।
খামারির কথায়, দুই বছর আগে তিনি ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন। সম্প্রতি এই বাছুরের প্রথম সংজন হয়েছে, যা জন্মের পর থেকেই অন্য যেকোনো বাছুরের তুলনায় অনেক বড় দেখাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাছুরটি ওলানে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, এতে দুধও আসে। এই ঘটনা প্রথমে হতভম্ব করে দিয়েছিল খামারির পরিবারকে, পরে তারা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের জানালে তারা এসে দেখেছেন। হারুনুর রশিদ বলছেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে ও স্বাদে গাভীর মতোই। তিনি মনে করেন, এটি আল্লাহর আশীর্বাদ বা নিদর্শন। তিনি নিজে ও তার সন্তানরা এই দুধ খেয়েছেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় একজন সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, তিনি বিভিন্ন দেশে ও স্থানেই ঘুরেছেন, কিন্তু কখনো দেখেননি এমন ঘটনা। তিনি জানান, বাছুরটির দুধ দেখার জন্য তিনি খামারে এসেছেন, প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলেও এখন তার নিজের চোখে দেখছেন। তিনি বলেন, যদি নিজ চোখে না দেখেন, তবে এই ঘটনা কল্পনাও করতে পারতেন না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, এমন ঘটনা তার কর্মজীবনে প্রথমবার ঘটছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রলেকটিন হরমোনের প্রবাহের কারণে। তিনি বলেন, এটি এক ধরনের ব্যতিক্রমী ঘটনা, যা তিনি আল্লাহর কুদরত বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেছেন, এই বাছুরের দুধ পানে কোনও সমস্যা হবে না এবং তার স্বাদও গাভীর মতোই হবে।
নির্বিশেষে, এই অদ্ভুত ঘটনা সকলের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে প্রকৃতি ও জীবনের অজানা দিকগুলো আবার তুলে ধরল এক আল্লাহর অপার দয়া ও অসাধারণ ক্ষমতার নিদর্শন।