কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে, উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায়। শ্রমিকরা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে, অস্ত্রের মুখে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকজনিত রোগী লিটনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথের মাঝে পিপুলবাড়িয়া মাঠের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে গাছ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে পাঁচ-ছয়জনের এক ডাকাত দল গাড়ির পথ রোধ করে। দেশীয় অস্ত্রধারীরা অ্যাম্বুলেন্সের চালক রতন আহমেদ এবং ভেতরে থাকা চারজনকে জিম্মি করে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন আহমেদ বলেন, রাত ১টার দিকে রোগীকে কুষ্টিয়ায় নেওয়ার সময় হঠাৎ ডাকাতেরা গাড়ি থামিয়ে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। তারা কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেয় এবং স্থান ত্যাগ করে।
রোগীর এক স্বজন জালাল বলেন, আমরা চালককে অনুরোধ করেছিলাম যেনো কাতলামারী না হন, কিন্তু তিনি ওই পথে যান। এ সময় ঘটনাটি ঘটে এবং ডাকাতরা আমাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিটন নামে একজন রোগী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যায় ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে পথের মাঝে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।