১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ঘাঘর নদীর বাঁধ অপসারণে উদ্যোগ গ্রহণ

দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরে অবশেষে কোতালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর মুখে থাকা বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সরেজমিনে উপস্থিত থেকে এই বাঁধটি সরিয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোতালীপাড়া থানার ওসি ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিয়ার রহমান হাওলাদার, বাঁধ নির্মাণে যুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খালের খননকাজ শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট এবং কাজের সমাপ্তি নির্ধারিত হয়েছে ২০২৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। বগুড়ার আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই খালের খনন কাজের অংশ হিসেবে ঘাঘর নদীর মোহনায় এক বছর আগে বাঁধ নির্মাণ করে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খালের খননের কাজ বর্তমানে বন্ধ থাকলেও বাঁধ থাকায় খাল দিয়ে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। বাঁধের কারণে আসন্ন দুর্গাপূজার সময়ে বিজয়ার দিন ঘাঘর নদীতে বিসর্জন দিতে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলায় ‘ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণের দাবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ বাঁধটি অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তারাশী কর্মকার বাড়ির সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, বাঁধটি অপসরণ হওয়ার ফলে প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল, তা দূর হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কোতালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকায় প্রতিমা বিসর্জনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল, এই সংবাদ পাওয়ার পরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে আনন্দময় এবং সুস্থ পরিবেশে সম্পন্ন হয়, সেদিকে আমরা সচেষ্ট।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ঘাঘর নদীর বাঁধ অপসারণে উদ্যোগ গ্রহণ

প্রকাশিতঃ ০২:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরে অবশেষে কোতালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর মুখে থাকা বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সরেজমিনে উপস্থিত থেকে এই বাঁধটি সরিয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোতালীপাড়া থানার ওসি ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিয়ার রহমান হাওলাদার, বাঁধ নির্মাণে যুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খালের খননকাজ শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট এবং কাজের সমাপ্তি নির্ধারিত হয়েছে ২০২৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। বগুড়ার আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই খালের খনন কাজের অংশ হিসেবে ঘাঘর নদীর মোহনায় এক বছর আগে বাঁধ নির্মাণ করে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খালের খননের কাজ বর্তমানে বন্ধ থাকলেও বাঁধ থাকায় খাল দিয়ে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। বাঁধের কারণে আসন্ন দুর্গাপূজার সময়ে বিজয়ার দিন ঘাঘর নদীতে বিসর্জন দিতে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলায় ‘ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণের দাবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ বাঁধটি অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তারাশী কর্মকার বাড়ির সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, বাঁধটি অপসরণ হওয়ার ফলে প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল, তা দূর হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কোতালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকায় প্রতিমা বিসর্জনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল, এই সংবাদ পাওয়ার পরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে আনন্দময় এবং সুস্থ পরিবেশে সম্পন্ন হয়, সেদিকে আমরা সচেষ্ট।