০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও যারা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছেন, সবাই এখন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিজেরা এখন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন, যতক্ষণ না নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পরে, বাংলদেশের ব্যবসায় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও খুবই উৎসাহের সঙ্গে বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবাই জানে, নির্বাচন হলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় তারা অপেক্ষা করছেন, যেন হয় শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

গতকাল রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। এই বৈঠক রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের সময় আমীর খসরু বলেন, দুটি বিষয় এই আলোচনা ਜੋড়ে উঠেছে। একটি হচ্ছে, বাংলাদেশের এলডিসি গ্ল্র্যাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ) এবং অন্যটি হচ্ছে শ্রম (লেবার) বিষয়। তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের জন্য এই দুই বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকিং ও বিনিয়োগের দিক থেকে আজকের পরিস্থিতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের বিষয়টি এখন পরিস্থিতি উন্নত করবে না, বরং কিছুটা পিছিয়ে যেতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও ব্যবসার অগ্রগতি আড়াল করতে এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে এখনই খুব বেশি আগ্রহী নয়। বরং, এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা চলছে, যাতে আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগে কোনও অপপ্রভাব না পড়ে। এছাড়াও, তিনি জানান, জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য একটি চিঠি দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ীরা এখনই প্রস্তুত নন। বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিভামিন্ড বিষয়ক আলোচনা। এছাড়া লেবার ল অ্যান্ড অরজিনালমেন্ট (ন্যূনতম ২০ শ্রমিকের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান) নিয়েও আলোচনা চলছে।’ তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলো তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এটি জন্যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বার্তা পৌঁছানোর জন্য বৈঠক করেছেন।

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা এলডিসি উত্তরণের পরিকল্পনা সফলভাবে চালিয়ে যেতে চাই কিন্তু তিন বছরের জন্য এই সিদ্ধান্তে পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ আমাদের তখনই প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যবসায়ী পরিবেশের জন্য সহায়ক হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে. আজাদ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি. রহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাক শিল্পের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান ও নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন: আমীর খসরু

প্রকাশিতঃ ০৬:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও যারা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছেন, সবাই এখন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিজেরা এখন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন, যতক্ষণ না নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পরে, বাংলদেশের ব্যবসায় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও খুবই উৎসাহের সঙ্গে বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবাই জানে, নির্বাচন হলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় তারা অপেক্ষা করছেন, যেন হয় শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

গতকাল রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। এই বৈঠক রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের সময় আমীর খসরু বলেন, দুটি বিষয় এই আলোচনা ਜੋড়ে উঠেছে। একটি হচ্ছে, বাংলাদেশের এলডিসি গ্ল্র্যাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ) এবং অন্যটি হচ্ছে শ্রম (লেবার) বিষয়। তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের জন্য এই দুই বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকিং ও বিনিয়োগের দিক থেকে আজকের পরিস্থিতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের বিষয়টি এখন পরিস্থিতি উন্নত করবে না, বরং কিছুটা পিছিয়ে যেতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও ব্যবসার অগ্রগতি আড়াল করতে এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে এখনই খুব বেশি আগ্রহী নয়। বরং, এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা চলছে, যাতে আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগে কোনও অপপ্রভাব না পড়ে। এছাড়াও, তিনি জানান, জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য একটি চিঠি দেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ীরা এখনই প্রস্তুত নন। বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিভামিন্ড বিষয়ক আলোচনা। এছাড়া লেবার ল অ্যান্ড অরজিনালমেন্ট (ন্যূনতম ২০ শ্রমিকের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান) নিয়েও আলোচনা চলছে।’ তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলো তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এটি জন্যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বার্তা পৌঁছানোর জন্য বৈঠক করেছেন।

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা এলডিসি উত্তরণের পরিকল্পনা সফলভাবে চালিয়ে যেতে চাই কিন্তু তিন বছরের জন্য এই সিদ্ধান্তে পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ আমাদের তখনই প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যবসায়ী পরিবেশের জন্য সহায়ক হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে. আজাদ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি. রহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক সভাপতি তাসকিন আহমেদ, নিট পোশাক শিল্পের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান ও নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসেন।