০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

কিশোরগঞ্জে বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শরীফুল আলম ও মাজহারুল ইসলাম পুনরায় নির্বাচিত

নব্বইয়ের দশকের পর প্রথমবারের মতো দীর্ঘ নয় বছর পর, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে কাউন্সিলররা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে মো. শরীফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, দুজনই পূর্বের কমিটির প্রথমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সকাল থেকে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের সূচনা হয়, যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পরে, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

ভোটের গণনা শেষে, সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম পেয়েছেন ১৫২২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। বাতিল হয় ১২০টি ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ১১৫৯ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল পান ৬১১ ভোট। এছাড়া, শফিকুল আলম রাজন পেয়েছেন ৩০ ভোট ও সাজ্জাদুল হক ৭ ভোট, বাতিল হয় ৩৩ ভোট।

এবারের নির্বাচনে জেলায় ১৩টি উপজেলাও ৮টি পৌরসভার মোট ২০৯০ জন কাউন্সিলর ভোট দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শেষবারের মতো ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মো. শরীফুল আলমকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তবে বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। পরে, তিন সপ্তাহ পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের নাম ঘোষণা করেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

কিশোরগঞ্জে বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শরীফুল আলম ও মাজহারুল ইসলাম পুনরায় নির্বাচিত

প্রকাশিতঃ ০৬:০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নব্বইয়ের দশকের পর প্রথমবারের মতো দীর্ঘ নয় বছর পর, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে কাউন্সিলররা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে মো. শরীফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, দুজনই পূর্বের কমিটির প্রথমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সকাল থেকে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের সূচনা হয়, যেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পরে, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

ভোটের গণনা শেষে, সভাপতি পদে মো. শরীফুল আলম পেয়েছেন ১৫২২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল হোসাইন পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। বাতিল হয় ১২০টি ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ১১৫৯ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল পান ৬১১ ভোট। এছাড়া, শফিকুল আলম রাজন পেয়েছেন ৩০ ভোট ও সাজ্জাদুল হক ৭ ভোট, বাতিল হয় ৩৩ ভোট।

এবারের নির্বাচনে জেলায় ১৩টি উপজেলাও ৮টি পৌরসভার মোট ২০৯০ জন কাউন্সিলর ভোট দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে শেষবারের মতো ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মো. শরীফুল আলমকে সভাপতি ও মাজহারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তবে বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। পরে, তিন সপ্তাহ পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের নাম ঘোষণা করেন।