১০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ভাবনায় থাকা দেশের ব্যবসায়ীরা যেমন আগ্রহী, একইভাবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা সব সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন যতক্ষণ না নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অধিক উৎসাহে বিনিয়োগের দিক ব্যস্ত হবেন বলে আশা তারা করেন। সবাই বিজ্ঞপ্তি অপেক্ষায় রয়েছেন কীভাবে পরিস্থিতি এগিয়ে যায়, যাতে তারা নিজেদের পরিকল্পনা কার্যকর করতে পারেন।

গতকাল রোববার, রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন আমীর খসরু। বৈঠকটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে হয়। এর আগে, বৈঠকে তারা দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ পরিস্থিতি এবং রাজধানীর লেবার নীতি বিষয়ক আলোচনা করেন।

আমীর খসরু জানান, সরকার ও ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়: প্রথমটি হলো দেশের এলডিসি অর্থনৈতিক তালিকা থেকে উত্তরণ, এবং দ্বিতীয়টি হলো শ্রমনীতি সংশোধন। তিনি বলেন, বর্তমানে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া বাংলাদেশের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, এই উত্তরণ দুই পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক নয়। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তে ক্ষতি হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির একটি চিঠি পাঠানো দরকার।

বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মূল উদ্বেগ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিফামেন্ট নিয়ে আলোচনা, পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়ে। তিনি বলেন, বিজিএমইআর নেতৃত্ব মনে করছে, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই প্রস্তুত নয় দেশের পোশাকশিল্প, তাই এই উত্তরণের সময়সীমা তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে তারা। এতে করে, শিল্পটির লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুবিধা হবে বলে তারা আশাবাদী।

সাবেক সময়ের মতো, এ বিষয়ে দলের নেতারা বৈঠকে আলোচনা চালিয়ে যান এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের জন্য অ্যাগ্রেসিভ পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: আমীর খসরু

প্রকাশিতঃ ১০:০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ভাবনায় থাকা দেশের ব্যবসায়ীরা যেমন আগ্রহী, একইভাবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভবিষ্যতে দেশে বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা সব সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন যতক্ষণ না নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অধিক উৎসাহে বিনিয়োগের দিক ব্যস্ত হবেন বলে আশা তারা করেন। সবাই বিজ্ঞপ্তি অপেক্ষায় রয়েছেন কীভাবে পরিস্থিতি এগিয়ে যায়, যাতে তারা নিজেদের পরিকল্পনা কার্যকর করতে পারেন।

গতকাল রোববার, রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন আমীর খসরু। বৈঠকটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে হয়। এর আগে, বৈঠকে তারা দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ পরিস্থিতি এবং রাজধানীর লেবার নীতি বিষয়ক আলোচনা করেন।

আমীর খসরু জানান, সরকার ও ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়: প্রথমটি হলো দেশের এলডিসি অর্থনৈতিক তালিকা থেকে উত্তরণ, এবং দ্বিতীয়টি হলো শ্রমনীতি সংশোধন। তিনি বলেন, বর্তমানে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া বাংলাদেশের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, এই উত্তরণ দুই পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক নয়। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তে ক্ষতি হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির একটি চিঠি পাঠানো দরকার।

বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মূল উদ্বেগ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ডিফামেন্ট নিয়ে আলোচনা, পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়ে। তিনি বলেন, বিজিএমইআর নেতৃত্ব মনে করছে, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই প্রস্তুত নয় দেশের পোশাকশিল্প, তাই এই উত্তরণের সময়সীমা তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে তারা। এতে করে, শিল্পটির লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুবিধা হবে বলে তারা আশাবাদী।

সাবেক সময়ের মতো, এ বিষয়ে দলের নেতারা বৈঠকে আলোচনা চালিয়ে যান এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের জন্য অ্যাগ্রেসিভ পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।