১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

তারেক রহমান warns of hidden dictatorship’s rise in future

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে গুপ্ত স্বৈরাচারের উদ্ভব ঘটতে পারে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হই এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো একসঙ্গে না দাঁড়ায়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে কীভাবে স্বৈরাচারী শাসন জেঁকে বসেছিল, সমবেতভাবে ঐক্যবদ্ধ না থাকলে সেই পরিস্থিতি আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের চলতে হবে। আমাদের মূলমন্ত্র হলো- বাংলাদেশ প্রথম, কারণ এই দেশই আমাদের শুরু আর শেষের ঠিকানা। তিনি এ কথা বলেন শনিবার কুমিল্লার টাউন হলে দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে। এটাই ছিল ১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রথম সম্মেলন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ, যা উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।

তারেক রহমান বলেন, ‘বক্তব্য অনেক হয়েছে, এখন আমাদের কাজের সময়। আজকের এ সম্মেলনের শ্লোগান হলো, ঐক্য, জনগণ ও পুনর্গঠন। নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মানুষের সাথে আন্দোলন করে এসেছে। জেলখানা ভরা, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। আমাদের সবাইকেই এক হয়ে এগোতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে নতুন করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করার। জনগণের কাছাকাছি যেতে হবে। সড়ক পথে বা মিটিংয়ে কথা বলে মানুষকে সঙ্গে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেকের কাছে পৌঁছাতে হবে, কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা সবাইকে বোঝাতে হবে।’

তারেক রহমান সতর্ক করে দেন, ‘গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, সেটি হলো- প্রত্যেক নেতা-কর্মী যেন সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে থাকে। জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং একটি সুখী, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে, এর বিকল্প নেই।’

তিনি বিশদে তুলে ধরেন, দেশের স্বাধীনের পর এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, যা পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিতাড়িত হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর আবার স্বৈরাচার ফিরে এসেছিল, কিন্তু জনগণের আন্দোলন এবং যুদ্ধের মাধ্যমে সেটিকেও নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল। গত ১৫ বছরেও এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, যা শেষ পর্যন্ত জনগণের চেষ্টায় বিতাড়িত হয়েছে। কথায় আনা হয়, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী চলতেই হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশের ঘরটি সবার জন্য—এটি আমাদের স্বপ্ন। এই ঘর সাজাতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবাই এক হয়ে কাজ করলে সুন্দর দেশ গড়া সম্ভব। এই দেশে ১৫-১৬ বছর ধরে চালু ছিল ডাকাতের মতো দুর্বৃত্তের থাবা, কিন্তু জনগণের আন্দোলনে সেটাও পরাস্ত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মূল কাঠামোকে পুনর্গঠণ করা।’

তিনি অব্যাহত রাখেন, ‘প্রত্যেক জনের দায়িত্ব হলো দেশের জন্য কাজ করা। দেশকে গঠন ও উন্নত করতে হলে সব নেতাকর্মীর ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। স্বৈরাচার পতনের পর এখন মূল কাজ হলো দেশের পুনর্গঠন। যদি আমরা সবাই একযোগে কাজ করি, তাহলে দেশটি আবারও সুশৃঙ্খল হবে।’

সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

তারেক রহমান warns of hidden dictatorship’s rise in future

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে গুপ্ত স্বৈরাচারের উদ্ভব ঘটতে পারে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হই এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো একসঙ্গে না দাঁড়ায়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে কীভাবে স্বৈরাচারী শাসন জেঁকে বসেছিল, সমবেতভাবে ঐক্যবদ্ধ না থাকলে সেই পরিস্থিতি আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের চলতে হবে। আমাদের মূলমন্ত্র হলো- বাংলাদেশ প্রথম, কারণ এই দেশই আমাদের শুরু আর শেষের ঠিকানা। তিনি এ কথা বলেন শনিবার কুমিল্লার টাউন হলে দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে। এটাই ছিল ১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রথম সম্মেলন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ, যা উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।

তারেক রহমান বলেন, ‘বক্তব্য অনেক হয়েছে, এখন আমাদের কাজের সময়। আজকের এ সম্মেলনের শ্লোগান হলো, ঐক্য, জনগণ ও পুনর্গঠন। নেতাকর্মীরা হাজার হাজার মানুষের সাথে আন্দোলন করে এসেছে। জেলখানা ভরা, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। আমাদের সবাইকেই এক হয়ে এগোতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে নতুন করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করার। জনগণের কাছাকাছি যেতে হবে। সড়ক পথে বা মিটিংয়ে কথা বলে মানুষকে সঙ্গে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেকের কাছে পৌঁছাতে হবে, কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা সবাইকে বোঝাতে হবে।’

তারেক রহমান সতর্ক করে দেন, ‘গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, সেটি হলো- প্রত্যেক নেতা-কর্মী যেন সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে থাকে। জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং একটি সুখী, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে, এর বিকল্প নেই।’

তিনি বিশদে তুলে ধরেন, দেশের স্বাধীনের পর এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, যা পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিতাড়িত হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর আবার স্বৈরাচার ফিরে এসেছিল, কিন্তু জনগণের আন্দোলন এবং যুদ্ধের মাধ্যমে সেটিকেও নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল। গত ১৫ বছরেও এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, যা শেষ পর্যন্ত জনগণের চেষ্টায় বিতাড়িত হয়েছে। কথায় আনা হয়, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী চলতেই হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশের ঘরটি সবার জন্য—এটি আমাদের স্বপ্ন। এই ঘর সাজাতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবাই এক হয়ে কাজ করলে সুন্দর দেশ গড়া সম্ভব। এই দেশে ১৫-১৬ বছর ধরে চালু ছিল ডাকাতের মতো দুর্বৃত্তের থাবা, কিন্তু জনগণের আন্দোলনে সেটাও পরাস্ত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মূল কাঠামোকে পুনর্গঠণ করা।’

তিনি অব্যাহত রাখেন, ‘প্রত্যেক জনের দায়িত্ব হলো দেশের জন্য কাজ করা। দেশকে গঠন ও উন্নত করতে হলে সব নেতাকর্মীর ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। স্বৈরাচার পতনের পর এখন মূল কাজ হলো দেশের পুনর্গঠন। যদি আমরা সবাই একযোগে কাজ করি, তাহলে দেশটি আবারও সুশৃঙ্খল হবে।’

সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।