১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

ঢাকা চেম্বার থেকে ই-রিটার্নের মাধ্যমে আয়কর প্রদান আরও ডিজিটাল ও সহজ করার আহ্বান

আয়কর পরিশোধের জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করে ই-রিটার্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে আয়কর এবং ভ্যাট প্রদান পদ্ধতিকে আধুনিক ও সহজ করার জন্য দেশের সকল নাগরিক ও ব্যবসায়ী সমাজকে উৎসাহিত করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ব্যক্তিগত আয়কর ও ই-রিটার্ন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তাসকীন আহমেদ বলেন, কর রাজস্বের মাধ্যমে সরকার দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সমাজের বিভিন্ন নিরাপত্তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আয়কর জিডিপি-র অবদান অন্যান্য দেশের তুলনায় কম থাকায় আমাদের আরো বেশি কর পরিশোধের প্রয়োজন। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য এটি অপরিহার্য।

তিনি বলেছেন, সরকার আয়কর প্রদান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি কর প্রদান প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জটিলতা কমানোর জন্য ই-রিটার্ন ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে করদাতা এবং ব্যবসায়ীরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে তাদের কর প্রদান করবেন, যা করের ক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করবে। তিনি জোর দেন, ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক করদাতাদের জন্য এই ডিজিটাল পদ্ধতি সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক।

অনুষ্ঠানে তিনটি মূল সেশন হয়: আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ই-রিটার্ন বিষয়ক। এতে ঢাকা চেম্বারের ৭০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের কর ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ, দাপ্তরিক জটিলতা কমে যাবে এবং জনগণের মধ্যে কর প্রদানে আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং উন্নয়নকাজ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

ঢাকা চেম্বার থেকে ই-রিটার্নের মাধ্যমে আয়কর প্রদান আরও ডিজিটাল ও সহজ করার আহ্বান

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আয়কর পরিশোধের জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করে ই-রিটার্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে আয়কর এবং ভ্যাট প্রদান পদ্ধতিকে আধুনিক ও সহজ করার জন্য দেশের সকল নাগরিক ও ব্যবসায়ী সমাজকে উৎসাহিত করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ব্যক্তিগত আয়কর ও ই-রিটার্ন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তাসকীন আহমেদ বলেন, কর রাজস্বের মাধ্যমে সরকার দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সমাজের বিভিন্ন নিরাপত্তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আয়কর জিডিপি-র অবদান অন্যান্য দেশের তুলনায় কম থাকায় আমাদের আরো বেশি কর পরিশোধের প্রয়োজন। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য এটি অপরিহার্য।

তিনি বলেছেন, সরকার আয়কর প্রদান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি কর প্রদান প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জটিলতা কমানোর জন্য ই-রিটার্ন ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে করদাতা এবং ব্যবসায়ীরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে তাদের কর প্রদান করবেন, যা করের ক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করবে। তিনি জোর দেন, ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক করদাতাদের জন্য এই ডিজিটাল পদ্ধতি সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক।

অনুষ্ঠানে তিনটি মূল সেশন হয়: আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ই-রিটার্ন বিষয়ক। এতে ঢাকা চেম্বারের ৭০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের কর ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ, দাপ্তরিক জটিলতা কমে যাবে এবং জনগণের মধ্যে কর প্রদানে আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং উন্নয়নকাজ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে।