০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

রামগঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের কাছ থেকে টিকা নিবন্ধনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিনামূল্যের টাইফয়েড ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়। এই প্রত্যাশিত সুবিধা পেতে সকল শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। গত আগস্ট মাসে ইউএনও কর্তৃক অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ুয়াদের নিবন্ধন কার্যক্রমের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে, এই নির্দেশনা থাকলেও চরলক্ষ্মী গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে গ্রহণ করে নথিভুক্ত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে প্রচুর খরচ হয় না, যা সাধারণত বিদ্যালয় বহন করে, তবে ওই প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। অভিভাবকদের একজন বলেন, প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য তিনি মোট ১২ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এতে সরকারের দেওয়া অডিট ও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কোথায় যায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা সুলতানা রিমার স্বামী স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে বিদ্যালয়ে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ভয় ও আতঙ্কে অভিভাবকরা বিষয়গুলো প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না, কারণ প্রধান শিক্ষক শিশুদের ফেল করে দেওয়ার হুমকি দেন। প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক নিজে স্বীকার করেছেন, টাকা নেওয়া হয় কারণ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অর্থ দিতে হয়। এই ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে টাকা নিতে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজিটাল যুগে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিনামূল্যে টিকা ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকলেও, এই ঘটনা রীতিমতো গাফিলতি এবং দুর্নীতি প্রকাশ coherently।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

রামগঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের কাছ থেকে টিকা নিবন্ধনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ১০:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিনামূল্যের টাইফয়েড ভ্যাকসিনের নিবন্ধনের নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়। এই প্রত্যাশিত সুবিধা পেতে সকল শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। গত আগস্ট মাসে ইউএনও কর্তৃক অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ুয়াদের নিবন্ধন কার্যক্রমের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে, এই নির্দেশনা থাকলেও চরলক্ষ্মী গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে গ্রহণ করে নথিভুক্ত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে প্রচুর খরচ হয় না, যা সাধারণত বিদ্যালয় বহন করে, তবে ওই প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। অভিভাবকদের একজন বলেন, প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য তিনি মোট ১২ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এতে সরকারের দেওয়া অডিট ও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কোথায় যায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা সুলতানা রিমার স্বামী স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে বিদ্যালয়ে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ভয় ও আতঙ্কে অভিভাবকরা বিষয়গুলো প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না, কারণ প্রধান শিক্ষক শিশুদের ফেল করে দেওয়ার হুমকি দেন। প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক নিজে স্বীকার করেছেন, টাকা নেওয়া হয় কারণ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অর্থ দিতে হয়। এই ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, যদি কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে টাকা নিতে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজিটাল যুগে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিনামূল্যে টিকা ও নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকলেও, এই ঘটনা রীতিমতো গাফিলতি এবং দুর্নীতি প্রকাশ coherently।