০২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

তারেক রহমানের আশা, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব

দীর্ঘ দুই দশক পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আবারও face-to-face সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এই প্রথম এত দীর্ঘ সময়ের পর তাকে সরাসরি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন জনতা। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং দেশে ফেরার ইচ্ছা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।

বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলের সাথে এই সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি শীঘ্রই দেশে ফিরবেন। প্রশ্ন তোলা হয়, কেন এখনো তিনি দেশে ফিরলেন না। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সংগত কারণের জন্য হয়তো ফিরতে পারিনি, কিন্তু সময় এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ, খুব দ্রুত ফিরে আসবো।’

আউটলুকের বিষয়ে আরও জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রুতই মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুত ফিরব।’ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নির্বাচনের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখি। যখন কোনও প্রত্যাশিত, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন হবে, আমি অবশ্যই সেখানে থাকব। আমার লক্ষ্য হলো, সেই স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যেন হয়, যাতে জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।’

দেশে ফিরে আসা নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা আছে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের শঙ্কার কথা আমরা শুনেছি। সরকারের কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে, বিভিন্ন মাধ্যমে এবং মিডিয়ায় এইসব শঙ্কা প্রকাশিত হয়েছে।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতে তিনি জানান, তিনি স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ ও নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে থাকেন। ‘কয়েক বছর ধরে আমি প্রবাসে থাকলেও আমার মন ও মনোভাব সবসময় দেশের সাথে রয়েছে। গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশে রয়েছি, যখনই সুযোগ এসেছে, সবসময় জনসাধারণের সাথে ও নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেছি।’

মিডিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা না বলায় এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এটা আসলে তেমন নয়। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে আছি। তবে দলীয় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, আমি গ্রামে-গঞ্জে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ চালিয়ে গিয়েছি।’

তিনি আরও জানান, স্বৈরাচার শাসনের সময় কোর্ট থেকে আদেশ পেয়ে তার মত ব্যক্তির কথা বলার অধিকার দীর্ঘদিন সীমিত করা হয়েছিল। ‘আমি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইলে, অনেক সময় প্রচার করতে পারিনি। তবে আমি তাদের সাথে থাকি, তাদের কাছে পৌঁছানোর বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করেছি।’

সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি, সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে আমার কথাগুলো পৌঁছেছে। আমি কোনোভাবেই কথা বন্ধ করিনি।’ আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি, খুব শিগগিরই দেশে ফিরব এবং কাজ চালিয়ে যাব।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

তারেক রহমানের আশা, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘ দুই দশক পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আবারও face-to-face সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এই প্রথম এত দীর্ঘ সময়ের পর তাকে সরাসরি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন জনতা। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং দেশে ফেরার ইচ্ছা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।

বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ও সিনিয়র সাংবাদিক কাদির কল্লোলের সাথে এই সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি শীঘ্রই দেশে ফিরবেন। প্রশ্ন তোলা হয়, কেন এখনো তিনি দেশে ফিরলেন না। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু সংগত কারণের জন্য হয়তো ফিরতে পারিনি, কিন্তু সময় এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ, খুব দ্রুত ফিরে আসবো।’

আউটলুকের বিষয়ে আরও জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রুতই মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুত ফিরব।’ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নির্বাচনের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখি। যখন কোনও প্রত্যাশিত, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন হবে, আমি অবশ্যই সেখানে থাকব। আমার লক্ষ্য হলো, সেই স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যেন হয়, যাতে জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।’

দেশে ফিরে আসা নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা আছে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের শঙ্কার কথা আমরা শুনেছি। সরকারের কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে, বিভিন্ন মাধ্যমে এবং মিডিয়ায় এইসব শঙ্কা প্রকাশিত হয়েছে।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতে তিনি জানান, তিনি স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ ও নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে থাকেন। ‘কয়েক বছর ধরে আমি প্রবাসে থাকলেও আমার মন ও মনোভাব সবসময় দেশের সাথে রয়েছে। গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশে রয়েছি, যখনই সুযোগ এসেছে, সবসময় জনসাধারণের সাথে ও নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেছি।’

মিডিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা না বলায় এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘এটা আসলে তেমন নয়। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে আছি। তবে দলীয় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, আমি গ্রামে-গঞ্জে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ চালিয়ে গিয়েছি।’

তিনি আরও জানান, স্বৈরাচার শাসনের সময় কোর্ট থেকে আদেশ পেয়ে তার মত ব্যক্তির কথা বলার অধিকার দীর্ঘদিন সীমিত করা হয়েছিল। ‘আমি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইলে, অনেক সময় প্রচার করতে পারিনি। তবে আমি তাদের সাথে থাকি, তাদের কাছে পৌঁছানোর বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করেছি।’

সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছি, সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে আমার কথাগুলো পৌঁছেছে। আমি কোনোভাবেই কথা বন্ধ করিনি।’ আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি, খুব শিগগিরই দেশে ফিরব এবং কাজ চালিয়ে যাব।’