০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

তারেক রহমানের মতে, এক-এগারোর সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন যে এক-এগারো সরকার ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসৎ পরিকল্পনা নিয়ে গঠিত। তিনি বলেছেন, সেই সময়ের সরকার সবকিছু ধ্বংস করতে চেয়েছিল, বিরাজনীতিকরণ চালিয়ে দেশের রাজনৈতিক ভিত্তি ধ্বংসের পাঁয়তাড়া করেছিল। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে যখন তারেক রহমানের কাছে প্রশ্ন করা হয়, সেই সময়ের সরকারকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এক-এগারোর সরকার একটি অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরকার ছিল। তারা সবকিছু গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছে, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল।” তিনি অনুরোধ করেন, দেশের রাজনীতি এগিয়ে নিতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর লণ্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর এই প্রথম তিনি কোনও গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন। তিনি আরও জানান, এক-এগারো সরকারের আমলে দেশেব্যাপারে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হলেও বিএনপি তখন কোনও দমন-পীড়ন চালায়নি। বরং তারেক রহমান উল্লেখ করেন, তারা মানসিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে। তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়েও মন্তব্য করেন, বলেন, ‘যদি ভারতের স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেয় এবং দেশের মানুষ বিরাজ করছে, তাহলে আমাদের কিছু করার থাক না। আমাদের দায়িত্ব হলো দেশের স্বার্থে কাজ করা এবং দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’ এছাড়াও রাজনৈতিক অঙ্গণে নিজের নীতিমালার কথা বলার সময় তিনি বলছেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসব, তখন দেশের স্বার্থ অগ্রাধিকার দিতে আমাদের অবশ্যই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।’ তিনি আরও জানান যে, বিএনপি সরকার পানির হিস্যা ও সীমান্ত হত্যার মতো বিষয় নিয়েও সোচ্চার থাকবে এবং দেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেন, ‘আমার সরকারের সময় কোনো সাংবাদিক নির্যাতন বা গুম হয়নি, বরং দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুন্দর ছিল।’ অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে তিনি নিশ্চিত করেন, ‘আমরা সবসময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সচেষ্ট থাকব এবং কালো আইন প্রত্যাহার করব।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে তারেক রহমান আহ্বান জানান, সকলে যেন দায়িত্বশীলভাবে মন্তব্য করেন এবং প্রচুর ভুলের মধ্যে না পড়ে, সত্যতা যাচাই করে সত্য তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, আনন্দও পান, তবে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে সতর্ক থাকাই প্রয়োজন।’ অবসরে তারেক রহমান ডিনামাইটের উদাহরণ দিয়ে বলেন, কীভাবে সহজে নানা কাজে এটা ব্যবহৃত হয়; তবে এর অপব্যবহার ভয়ংকর ও অপরাধমূলক। শেষমেশ, তিনি সামগ্রিকভাবে আশা প্রকাশ করেন যে, সচেতনতা, সমালোচনায় এবং দায়িত্বশীলতা দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর ও শক্তিশালী হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

তারেক রহমানের মতে, এক-এগারোর সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন যে এক-এগারো সরকার ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসৎ পরিকল্পনা নিয়ে গঠিত। তিনি বলেছেন, সেই সময়ের সরকার সবকিছু ধ্বংস করতে চেয়েছিল, বিরাজনীতিকরণ চালিয়ে দেশের রাজনৈতিক ভিত্তি ধ্বংসের পাঁয়তাড়া করেছিল। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে যখন তারেক রহমানের কাছে প্রশ্ন করা হয়, সেই সময়ের সরকারকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এক-এগারোর সরকার একটি অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরকার ছিল। তারা সবকিছু গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছে, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল।” তিনি অনুরোধ করেন, দেশের রাজনীতি এগিয়ে নিতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর লণ্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর এই প্রথম তিনি কোনও গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন। তিনি আরও জানান, এক-এগারো সরকারের আমলে দেশেব্যাপারে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হলেও বিএনপি তখন কোনও দমন-পীড়ন চালায়নি। বরং তারেক রহমান উল্লেখ করেন, তারা মানসিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে। তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়েও মন্তব্য করেন, বলেন, ‘যদি ভারতের স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেয় এবং দেশের মানুষ বিরাজ করছে, তাহলে আমাদের কিছু করার থাক না। আমাদের দায়িত্ব হলো দেশের স্বার্থে কাজ করা এবং দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’ এছাড়াও রাজনৈতিক অঙ্গণে নিজের নীতিমালার কথা বলার সময় তিনি বলছেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসব, তখন দেশের স্বার্থ অগ্রাধিকার দিতে আমাদের অবশ্যই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।’ তিনি আরও জানান যে, বিএনপি সরকার পানির হিস্যা ও সীমান্ত হত্যার মতো বিষয় নিয়েও সোচ্চার থাকবে এবং দেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেন, ‘আমার সরকারের সময় কোনো সাংবাদিক নির্যাতন বা গুম হয়নি, বরং দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুন্দর ছিল।’ অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে তিনি নিশ্চিত করেন, ‘আমরা সবসময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সচেষ্ট থাকব এবং কালো আইন প্রত্যাহার করব।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে তারেক রহমান আহ্বান জানান, সকলে যেন দায়িত্বশীলভাবে মন্তব্য করেন এবং প্রচুর ভুলের মধ্যে না পড়ে, সত্যতা যাচাই করে সত্য তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, আনন্দও পান, তবে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে সতর্ক থাকাই প্রয়োজন।’ অবসরে তারেক রহমান ডিনামাইটের উদাহরণ দিয়ে বলেন, কীভাবে সহজে নানা কাজে এটা ব্যবহৃত হয়; তবে এর অপব্যবহার ভয়ংকর ও অপরাধমূলক। শেষমেশ, তিনি সামগ্রিকভাবে আশা প্রকাশ করেন যে, সচেতনতা, সমালোচনায় এবং দায়িত্বশীলতা দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর ও শক্তিশালী হবে।