০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি আগামী মাসেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট চান। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তারা ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে নভেম্বরের মধ্যেই এই গণভোট সম্পন্ন করতে চান। তিনি জানান, তারা চাইছেন, দেশ স্থিতিশীল ও দৃढ़তার সঙ্গে ৫৪ বছর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে দলীয় অবস্থান প্রকাশ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর স্থির সিদ্ধান্ত, ফেব্রুয়ারিতে হবে জাতীয় নির্বাচন এবং নভেম্বরের ভেতরেই হবে জুলাই চার্টারের ওপর গণভোট। আমরা বিশ্বাস করি, এমন সিদ্ধান্ত দেশের জন্য স্থিতিশীলতা, শক্তি ও ঐক্য আনবে।’

অন্যদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতৈক্য থাকলেও, কবে এই গণভোট হবে এ নিয়ে মতভেদ রয়ে গেছে। বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে হলেও, জামায়াতের আপত্তি রয়েছে এর ব্যাপারে। তাহের বলেন, ‘আমরা সবাই এখন একমত যে, জুলাই চার্টার গ্রহণের জন্য গণভোট জরুরি। তবে רבים বলছেন, গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হলে জটিলতা তৈরি হবে। আমরা মনে করি, একসঙ্গে হলে কিছু সুবিধা থাকলেও, সম্ভাব্য ঝুঁকিও বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়, একসঙ্গে ভোটাধিকার প্রক্রিয়া কখনো কখনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের প্রশ্নবোধক অবস্থা নিশ্চিত হলে, গণভোটেরভাবও প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। এরপর, অর্থনৈতিক ও বাস্তব কার্যক্রমের ক্ষতি হতে পারে।’

অর্থনৈতিক খরচ ও প্রস্তুতি বিষয়েও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি মনে করি, এই খরচ খুব বেশি নয়, বরং এটি দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’

বিএনপি’র ভিন্ন মোকাবিলার দিকে ইঙ্গিত করে তাহের বলেন, ‘মূলত, এক দল কিছুটা ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে, কিন্তু তারা অবশ্যই পরিষ্কার করে বলতে হবে তারা যে নোট অব ডিসেন্ট দিচ্ছে, সেটা কি উদ্দেশ্য। কারণ, নোট অব ডিসেন্ট যদি কোনও সিদ্ধান্তের অংশ না হয়, তবে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ তিনি আরও জানান, ‘উদাহরণস্বরূপ, হাইকোর্টের রায়ে যদি তিন বিচারকের মধ্যে দুজন রায় দেন এবং একজন নোট অব ডিসেন্ট করেন, তবে সেটা রায় নয়। ইতিহাস বলে, এমন নোট অব ডিসেন্ট সিদ্ধান্তের পর্যায়ে পড়ে না।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি আগামী মাসেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট চান। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তারা ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে নভেম্বরের মধ্যেই এই গণভোট সম্পন্ন করতে চান। তিনি জানান, তারা চাইছেন, দেশ স্থিতিশীল ও দৃढ़তার সঙ্গে ৫৪ বছর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে দলীয় অবস্থান প্রকাশ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর স্থির সিদ্ধান্ত, ফেব্রুয়ারিতে হবে জাতীয় নির্বাচন এবং নভেম্বরের ভেতরেই হবে জুলাই চার্টারের ওপর গণভোট। আমরা বিশ্বাস করি, এমন সিদ্ধান্ত দেশের জন্য স্থিতিশীলতা, শক্তি ও ঐক্য আনবে।’

অন্যদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতৈক্য থাকলেও, কবে এই গণভোট হবে এ নিয়ে মতভেদ রয়ে গেছে। বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে হলেও, জামায়াতের আপত্তি রয়েছে এর ব্যাপারে। তাহের বলেন, ‘আমরা সবাই এখন একমত যে, জুলাই চার্টার গ্রহণের জন্য গণভোট জরুরি। তবে רבים বলছেন, গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হলে জটিলতা তৈরি হবে। আমরা মনে করি, একসঙ্গে হলে কিছু সুবিধা থাকলেও, সম্ভাব্য ঝুঁকিও বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়, একসঙ্গে ভোটাধিকার প্রক্রিয়া কখনো কখনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের প্রশ্নবোধক অবস্থা নিশ্চিত হলে, গণভোটেরভাবও প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। এরপর, অর্থনৈতিক ও বাস্তব কার্যক্রমের ক্ষতি হতে পারে।’

অর্থনৈতিক খরচ ও প্রস্তুতি বিষয়েও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি মনে করি, এই খরচ খুব বেশি নয়, বরং এটি দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’

বিএনপি’র ভিন্ন মোকাবিলার দিকে ইঙ্গিত করে তাহের বলেন, ‘মূলত, এক দল কিছুটা ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে, কিন্তু তারা অবশ্যই পরিষ্কার করে বলতে হবে তারা যে নোট অব ডিসেন্ট দিচ্ছে, সেটা কি উদ্দেশ্য। কারণ, নোট অব ডিসেন্ট যদি কোনও সিদ্ধান্তের অংশ না হয়, তবে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ তিনি আরও জানান, ‘উদাহরণস্বরূপ, হাইকোর্টের রায়ে যদি তিন বিচারকের মধ্যে দুজন রায় দেন এবং একজন নোট অব ডিসেন্ট করেন, তবে সেটা রায় নয়। ইতিহাস বলে, এমন নোট অব ডিসেন্ট সিদ্ধান্তের পর্যায়ে পড়ে না।’