০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

তারেক রহমানের বক্তব্য: এক-এগারো সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন যে, এক-এগারো সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, ওই সরকার দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়নি, বরং সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে এবং বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এই সাক্ষাৎকারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, এক-এগারো সরকারের সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে দেশের রাজনীতি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তারা (সরকার) চেষ্টা করেছিল সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিতো, দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য। তিনি মনে করেন, পরে তারা নতুন রূপ ধারণ করে, দেহে ‘ডেমোক্র্যাসি’র অজুহাতে রাজনৈতিক দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের জন্য উন্নয়ন ও অগ্রগতি আনা এখন তাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ উন্নত করার জন্য সংগঠনটি এগিয়ে যেতে চায়।

২০০৮ সালে বিভ্রান্তি ও নির্বাসন জীবন শুরু করার পর এই প্রথমবারের মতো বাইরের কোনো গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দেন তারেক রহমান। এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়াল ইলেভেন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

ভারতের সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি তারা স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেয় এবং দেশের জনগণের বিরাগভাজন হয়, তাহলে বিএনপির কিছু করার নেই। দেশের জনগণের সিদ্ধান্তই এখন মূল। তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বার্থ অনুযায়ী সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে তারা সচেষ্ট হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দেশের স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে পানির হিস্যা দাবি করা ও সীমান্ত রক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও মোটেও মেনে নেবেন না বলে স্পষ্ট করেন।

নেতা বলেন, বিএনপি তাদের সময়ের মতো সাংবাদিক নির্যাতন ও দমন-পীড়ন কখনো করেনি ও করবে না। তিনি দাবি করেন, তাঁদের শাসনামলে সাংবাদিকদের উপর কোনো দমন-পীড়ন হয়নি। এরপর তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এসব ঘটনা এড়ানোর জন্য তাঁরা সদা সচেতন থাকবেন।

সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা এই বিষয়গুলোতে কোনো বাধা দেবে না। তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় ভুল সংবাদ ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে, যা তারা এখন থেকে বন্ধ করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকের অধিকার থাকলেও সবার উচিত সচেতন থাকা যে, কোন তথ্য সত্য, কোনটি মিথ্যা। তিনি ফ্যাক্ট চেকের উপরও জোর দেন। তারেক রহমান বলেন, প্রচারে অপপ্রচার ও মিসইনফরমেশন এড়ানোর জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন এবং মিম বা কার্টুনের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো হাস্যরসাত্মকভাবে উপভোগ করেন। তবে, এর নেতিবাচক ব্যবহারের উদাহরণ হিসেবে ডিনামাইটের কথা তুলে ধরেন, যেখানে এটি মানুষের জীবন হারানোর মতো ভয়ংকর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

তারেক রহমানের বক্তব্য: এক-এগারো সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন যে, এক-এগারো সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, ওই সরকার দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়নি, বরং সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে এবং বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এই সাক্ষাৎকারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, এক-এগারো সরকারের সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে দেশের রাজনীতি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তারা (সরকার) চেষ্টা করেছিল সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিতো, দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য। তিনি মনে করেন, পরে তারা নতুন রূপ ধারণ করে, দেহে ‘ডেমোক্র্যাসি’র অজুহাতে রাজনৈতিক দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের জন্য উন্নয়ন ও অগ্রগতি আনা এখন তাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ উন্নত করার জন্য সংগঠনটি এগিয়ে যেতে চায়।

২০০৮ সালে বিভ্রান্তি ও নির্বাসন জীবন শুরু করার পর এই প্রথমবারের মতো বাইরের কোনো গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দেন তারেক রহমান। এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়াল ইলেভেন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

ভারতের সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি তারা স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেয় এবং দেশের জনগণের বিরাগভাজন হয়, তাহলে বিএনপির কিছু করার নেই। দেশের জনগণের সিদ্ধান্তই এখন মূল। তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বার্থ অনুযায়ী সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে তারা সচেষ্ট হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দেশের স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে পানির হিস্যা দাবি করা ও সীমান্ত রক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও মোটেও মেনে নেবেন না বলে স্পষ্ট করেন।

নেতা বলেন, বিএনপি তাদের সময়ের মতো সাংবাদিক নির্যাতন ও দমন-পীড়ন কখনো করেনি ও করবে না। তিনি দাবি করেন, তাঁদের শাসনামলে সাংবাদিকদের উপর কোনো দমন-পীড়ন হয়নি। এরপর তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এসব ঘটনা এড়ানোর জন্য তাঁরা সদা সচেতন থাকবেন।

সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা এই বিষয়গুলোতে কোনো বাধা দেবে না। তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় ভুল সংবাদ ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে, যা তারা এখন থেকে বন্ধ করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকের অধিকার থাকলেও সবার উচিত সচেতন থাকা যে, কোন তথ্য সত্য, কোনটি মিথ্যা। তিনি ফ্যাক্ট চেকের উপরও জোর দেন। তারেক রহমান বলেন, প্রচারে অপপ্রচার ও মিসইনফরমেশন এড়ানোর জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন এবং মিম বা কার্টুনের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো হাস্যরসাত্মকভাবে উপভোগ করেন। তবে, এর নেতিবাচক ব্যবহারের উদাহরণ হিসেবে ডিনামাইটের কথা তুলে ধরেন, যেখানে এটি মানুষের জীবন হারানোর মতো ভয়ংকর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।