০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ

সরকার ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের রেল যোগাযোগের উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আগে, ঢাকা-চট্টগ্রামের সড়ক সম্প্রসারণের জন্য দেড় دہা পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যেখানে ১০ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তার পরিবর্তে রেল যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জমির সংকট এবং স্থায়ী পরিবহন ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা শেখ মঈনুদ্দিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী হিসেবে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডকে ৬ বা ১০ লেনের করার আলোচনা চলছিল, কিন্তু এখনই তা চূড়ান্ত নয়। সম্ভবত সর্বোচ্চ ৬ লেনের পরিকল্পনা চলছে। এর পাশাপাশি সড়ক সম্প্রসারণের পরিবর্তে ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াতের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন হলো দ্রুত, নিরাপদ এবং সময়মত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। যদি আমরা রেল ব্যবস্থা উন্নত করি, তাহলে অনেক যানবাহনের চাপ কমবে এবং মানুষের ভোগান্তি হ্রাস পাবে। এজন্য রেললাইনের আধুনিকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকাছট্টগ্রাম রেললাইনটি সংস্কার ও উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’ শেখ মঈনুদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণে ভূমি সংকট আরও বাড়বে, যার ফলে দেশের জমির চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। পাশাপাশি, বর্তমানে দেশে পণ্য পরিবহনের মাত্র ২ শতাংশই রেলপথে হয়, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমান। তিনি বলেন, ‘আমি রেলওয়ে উন্নয়নে দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করেছি যেন রাস্তায় চাপ কমে। ট্রেন নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশদূষণ কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।’ শেখ মঈনুদ্দিন আরও জানান, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য রেলপথে পরিবহন হয়, আর বাংলাদেশে তা মাত্র ২ শতাংশ। তিনি এই হার অন্তত ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে চান, যাতে রেল পরিবহন লাভজনক হয় এবং সড়কে চাপ কমে। যেহেতু ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ সচল রাখতে বর্তমানে লোকোমোটিভের ঘাটতিসহ কিছু সমস্যা রয়েছে, তাই নতুন লোকোমোটিভ কেনার জন্য সম্প্রতি টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এই উদ্যোগে ট্রেনের গতি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন ট্রেন লাইন স্থাপনের প্রয়োজন হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে কিছু নির্দিষ্ট ট্রেন শুধুমাত্র পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে, যাতে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো যায়। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে।’ সরকারের এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে সড়কের চাপ কমবে এবং দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতি দেখা দেবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শেখ মঈনুদ্দিন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

সরকার ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের রেল যোগাযোগের উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আগে, ঢাকা-চট্টগ্রামের সড়ক সম্প্রসারণের জন্য দেড় دہা পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যেখানে ১০ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তার পরিবর্তে রেল যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, জমির সংকট এবং স্থায়ী পরিবহন ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা শেখ মঈনুদ্দিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী হিসেবে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডকে ৬ বা ১০ লেনের করার আলোচনা চলছিল, কিন্তু এখনই তা চূড়ান্ত নয়। সম্ভবত সর্বোচ্চ ৬ লেনের পরিকল্পনা চলছে। এর পাশাপাশি সড়ক সম্প্রসারণের পরিবর্তে ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াতের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন হলো দ্রুত, নিরাপদ এবং সময়মত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। যদি আমরা রেল ব্যবস্থা উন্নত করি, তাহলে অনেক যানবাহনের চাপ কমবে এবং মানুষের ভোগান্তি হ্রাস পাবে। এজন্য রেললাইনের আধুনিকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকাছট্টগ্রাম রেললাইনটি সংস্কার ও উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’ শেখ মঈনুদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘রাস্তাঘাটের সম্প্রসারণে ভূমি সংকট আরও বাড়বে, যার ফলে দেশের জমির চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। পাশাপাশি, বর্তমানে দেশে পণ্য পরিবহনের মাত্র ২ শতাংশই রেলপথে হয়, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমান। তিনি বলেন, ‘আমি রেলওয়ে উন্নয়নে দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করেছি যেন রাস্তায় চাপ কমে। ট্রেন নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশদূষণ কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।’ শেখ মঈনুদ্দিন আরও জানান, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য রেলপথে পরিবহন হয়, আর বাংলাদেশে তা মাত্র ২ শতাংশ। তিনি এই হার অন্তত ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে চান, যাতে রেল পরিবহন লাভজনক হয় এবং সড়কে চাপ কমে। যেহেতু ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ সচল রাখতে বর্তমানে লোকোমোটিভের ঘাটতিসহ কিছু সমস্যা রয়েছে, তাই নতুন লোকোমোটিভ কেনার জন্য সম্প্রতি টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এই উদ্যোগে ট্রেনের গতি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন ট্রেন লাইন স্থাপনের প্রয়োজন হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে কিছু নির্দিষ্ট ট্রেন শুধুমাত্র পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে, যাতে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো যায়। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে।’ সরকারের এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে সড়কের চাপ কমবে এবং দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতি দেখা দেবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শেখ মঈনুদ্দিন।