০২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

জাতিসংঘের বাজেট হ্রাসের কারণে ১৩১৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রত্যাহার

অর্থনৈতিক সংকটে সমাধানের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৫ শতাংশ বাজেট কাটা হবে। এই অবস্থায় পাঁচটি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশি ১৩১৩ জন শান্তিরক্ষীকে প্রত্যাহার করা হবে। এদের মধ্যে দেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

১৪ অক্টোবর তারিখে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স কার্যালয়ের (ওএমএ) ভারপ্রাপ্ত সামরিক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেরিল পিয়ার্স বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠিটি বাংলাদেশের সামরিক উপদেষ্টাকে এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ওএমএ’র চিফ অব স্টাফ ক্যাপ্টেন লনি ফিল্ডস জুনিয়র, যা খসড়া প্রস্তুত করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানবির আলম, যিনি কার্যালয়ের মিলিটারি পিস অপারেশন সাপোর্ট শাখার প্রধান।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্দেশে, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৫ শতাংশ বাজেট হ্রাস কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে, ইউনিফর্মধারী সদস্যদের বরাদ্দ অর্থ কমানো হবে এবং মাঠে শান্তিরক্ষী সংখ্যাও হ্রাস পাবে।

প্রত্যাহার করা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অংশগ্রহণকারী পাঁচটি মিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার তালিকা এইরকম:
– ইউএনমিস (দক্ষিণ সুদান): ৬১৭ জন
– মিনুসকা (মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র): ৩৪১ জন
– ইউনিসফা (সুদানের আবেই অঞ্চল): ২৬৮ জন
– মনুসকো (কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র): ৭৯ জন
– মিনুরসো (পশ্চিম সাহারা): ৮ জন

চিঠিতে আরও জানানো হয়, জাতিসংঘের লজিস্টিক বিভাগ, ইউনিফর্মড ক্যাপাবিলিটিজ সাপোর্ট বিভাগ এবং মিশন সাপোর্ট বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করে এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।

বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালে মাত্র ১৫ জন পর্যবেক্ষক নিয়ে ইরাক-ইরান মিলিটারি অবজারভার গ্রুপে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ পায়, এবং ১৯৯৩ সালে নৌ ও বিমানবাহিনীও এই মিশনে যোগ দিতে শুরু করে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৪৩টি শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছে, যেখানে প্রায় ৬৩টি দেশে ১,৭৮,৭৪৩ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, বিশ্বের ১০টি অঞ্চলে ৫,৬১৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বর্তমানে কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র অবশিষ্ট কন্টিনজেন্ট কঙ্গো থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ১৮০ সদস্যের কন্টিনজেন্টে ৭০ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগামী নভেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরবেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

জাতিসংঘের বাজেট হ্রাসের কারণে ১৩১৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রত্যাহার

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

অর্থনৈতিক সংকটে সমাধানের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৫ শতাংশ বাজেট কাটা হবে। এই অবস্থায় পাঁচটি শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশি ১৩১৩ জন শান্তিরক্ষীকে প্রত্যাহার করা হবে। এদের মধ্যে দেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

১৪ অক্টোবর তারিখে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স কার্যালয়ের (ওএমএ) ভারপ্রাপ্ত সামরিক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেরিল পিয়ার্স বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠিটি বাংলাদেশের সামরিক উপদেষ্টাকে এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ওএমএ’র চিফ অব স্টাফ ক্যাপ্টেন লনি ফিল্ডস জুনিয়র, যা খসড়া প্রস্তুত করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানবির আলম, যিনি কার্যালয়ের মিলিটারি পিস অপারেশন সাপোর্ট শাখার প্রধান।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্দেশে, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৫ শতাংশ বাজেট হ্রাস কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে, ইউনিফর্মধারী সদস্যদের বরাদ্দ অর্থ কমানো হবে এবং মাঠে শান্তিরক্ষী সংখ্যাও হ্রাস পাবে।

প্রত্যাহার করা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অংশগ্রহণকারী পাঁচটি মিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার তালিকা এইরকম:
– ইউএনমিস (দক্ষিণ সুদান): ৬১৭ জন
– মিনুসকা (মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র): ৩৪১ জন
– ইউনিসফা (সুদানের আবেই অঞ্চল): ২৬৮ জন
– মনুসকো (কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র): ৭৯ জন
– মিনুরসো (পশ্চিম সাহারা): ৮ জন

চিঠিতে আরও জানানো হয়, জাতিসংঘের লজিস্টিক বিভাগ, ইউনিফর্মড ক্যাপাবিলিটিজ সাপোর্ট বিভাগ এবং মিশন সাপোর্ট বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করে এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।

বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালে মাত্র ১৫ জন পর্যবেক্ষক নিয়ে ইরাক-ইরান মিলিটারি অবজারভার গ্রুপে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ পায়, এবং ১৯৯৩ সালে নৌ ও বিমানবাহিনীও এই মিশনে যোগ দিতে শুরু করে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ৪৩টি শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছে, যেখানে প্রায় ৬৩টি দেশে ১,৭৮,৭৪৩ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, বিশ্বের ১০টি অঞ্চলে ৫,৬১৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বর্তমানে কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের একমাত্র অবশিষ্ট কন্টিনজেন্ট কঙ্গো থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ১৮০ সদস্যের কন্টিনজেন্টে ৭০ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা আগামী নভেম্বরের মধ্যে দেশে ফিরবেন।